প্রতিবেদন : খেজুরির (khejuri murder) জোড়ামৃত্যুর তদন্তে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার উপরেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার লিখিত নির্দেশে সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, সিআইডি-র ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট গঠন করবেন এডিজি সিআইডি। থাকবেন সিআইডি-র হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও। তাঁরাই তদন্ত করবেন। একমাস পর, ২৫ সেপ্টেম্বর তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ১২ জুলাই খেজুরিতে একটি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু (khejuri murder) হয় সুজিত দাস ও সুধীর পাইকের। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হলেও, পরে হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের পর রিপোর্টে দেহে আঘাতের চিহ্নের কথা বলা হয়। দুই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পার্থক্যের কারণে সোমবার আদালতে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানায় মৃতদের পরিবার। কিন্তু বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে সেই দাবি খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে, মৌখিকভাবে সিআইডিকেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। এদিনের শুনানিতে লিখিত নির্দেশে সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেয় আদালত।
আরও পড়ুন- জারি উন্নয়ন, তবু ভোট কম কেন? দক্ষিণ দিনাজপুর ও জঙ্গিপুর নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক