প্রতিবেদন : মেদিনীপুর হাসপাতালে (Medinipur Hospital) স্যালাইন-অঘটনে গাফিলতির প্রমাণ এখনও নিশ্চিত নয়। উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও। এই দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে। কিন্তু বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনিক। প্রশাসন এরইমধ্যে এই অভিযোগ নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দু’দিনের মধ্যে সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। কিন্তু এখানেই না থেমে এবার এই ঘটনা নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য প্রশাসন। সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়ে দেন, যদি কোথাও কারও কোনও গাফিলতির প্রমাণ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্য বিরোধীদের রাজনৈতিক অভিযোগের কড়া উত্তর দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- কাল মকরস্নান গঙ্গাসাগরে, উপচে পড়া ভিড়, সতর্ক রাজ্য
এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, পুরোটাই প্রশাসনিক বিষয়, সরকার তদন্ত করছে। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন, ওই স্যালাইনের কারণেই যদি এই অঘটন ঘটে থাকে তাহলে হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে কেন কিছু হল না? কেন পুরো গাইনি ওয়ার্ডেও হল না? শুধু কেন গাইনির একটা ১-সি ইউনিটেই এই দুর্ঘটনা ঘটল? তিনি বলেন, স্যালাইনের যে ব্যাচ নিয়ে আপত্তি সেটা কারা নিয়ে এল? কোথা থেকে আনল, সেটা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। গোটা বিষয়টা কেন হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ফলে ওই স্যালাইনের থেকেই এই অঘটন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সবটার পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই তো? প্রশ্ন কুণালের। তিনি বলেন, ওই দিন ওটিতে কারা ছিলেন দেখতে? দায়িত্বশীল চিকিৎসকরা ছিলেন? যাঁরা ছিলেন তাঁদের কেউ কেউ আরজি করে সরকার বিরোধী কুৎসা আন্দোলনে ছিলেন কী? সবটাই খতিয়ে দেখা দরকার। বিরোধীরা যেভাবে রাজনৈতিক অভিযোগ করছে তাহলে রাজনৈতিক সংশয়গুলো উঠে আসবে। বিরোধীদের সিবিআই তদন্তের দাবি উড়িয়ে কুণাল বলেন, এর আগে দেখা গিয়েছিল তারা রাসায়নিক লাগানো গ্লাভসকে রক্তমাখা গ্লাভস বলে প্রচার করে সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হয়েছে। এটাই ফের সেরকম কোনও চেষ্টা নয় তো? আরজি করের ঘটনা নিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ফের স্যালাইনের অঘটনকে সামনে আনা হচ্ছে না তো? রাতারাতি স্যালাইন কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকার বিরোধী প্রচার শুরু হয়ে গেল বিরোধীদের। তাতে যোগ দিল মিডিয়ার একাংশ। সবটাই সরকারকে কালিমালিপ্ত করার নতুন অভিসন্ধি কিনা ভাবতে হবে। তবে প্রশাসন তদন্ত করছে। কেউ বা কারা দোষী হলে শাস্তি পাবে।