প্রতিবেদন : আয়কর অফিসার সেজে ফ্ল্যাটে ঢুকে অবাধে লুটপাট। পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ও ২৫ ভরি সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বাগুইআটির চিনার পার্কের ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে পাঁচ সিআইএসএফ (CISF) আধিকারিক-সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন সিআইএসএফ আধিকারিক, বাকি চারজন জওয়ান। বাকি দুই ধৃতদের একজন গাড়িচালক ও আর একজন ওই ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী। ধৃতদের নাম রামু সারোজ (৩৬), জনার্দন সাউ (৩৯), বিমল থাপা (৩৫), আরতি সিং (৩৭), লক্ষীকুমারী চৌধুরী (৩৪)। বুধবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে, এদের মধ্যে আরতি সিংকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগ, আরতির খবরের ভিত্তিতেই এই অপারেশন চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ মার্চ মাঝরাতে আয়কর আধিকারিক সেজে চিনার পার্ক এলাকার ওই প্রোমোটারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। প্রোমোটারের মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে পর্দাফাঁস হয় এই প্রতারণার চক্রের। জানা গিয়েছে সেদিন রাতে মৃত ওই প্রোমোটারের ফ্ল্যাটে আচমকাই হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে সকলের মোবাইল কেড়ে নেয় তারা। তারপর তল্লাশির নামে চলে দেদার লুটপাট। নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও ২৫ ভরি সোনার গয়না নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, ওই প্রোমোটারের স্ত্রী আরতি সিংকে দিয়ে জোর করে কিছু কাগজে সই করিয়ে নেয় তারা। ঘটনার পর মৃত প্রোমোটারের মেয়ে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে প্রতারকদের ব্যবহার করা গাড়ি চিহ্নিত করে চালককে আটক করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই বাকিদের খোঁজ মেলে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি পূর্ব পরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। প্রোমোটারের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তার দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই দুষ্কৃতীরা ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয়। ঘটনায় আর কারা যুক্ত তাদের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন-গোয়ায় বিরোধিতার মুখে বিজেপি