প্রতিবেদন : ফের একবার সামনে এল বিজেপির গোপন অ্যাজেন্ডা। বহুদিন থেকে আরএসএস চাইছে জাতীয় সংগীত জনগণমনকে সরিয়ে তার জায়গায় রাষ্ট্রীয় স্তোত্র বন্দেমাতরমকে (Jana Gana Mana- Vande Mataram) আনতে। সংঘের সেই গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাই মোদি সরকার দিল্লি হাইকোর্টে পেশ করা এক হলফনামায় জানাল, জাতীয় সংগীত জনগণমন এবং রাষ্ট্রীয় স্তোত্র বন্দেমাতরম দুইয়েরই মর্যাদা সমান। তাই জাতীয় সংগীত ও জাতীয় স্তোত্রর সমান সম্মান পাওয়া উচিত। দেশের নাগরিকদের দু’টি গানকেই সমানরকম সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-মা, বোন-সহ চারজনকে কুপিয়ে খুন কিশোরের
জাতীয় স্তোত্র বন্দেমাতরমকে (Jana Gana Mana- Vande Mataram) জাতীয় সংগীত জনগণমনর সমমর্যাদা দিতে হবে, এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই সঙ্গে এই বিজেপি নেতার আরজি ছিল, প্রতিটি স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনগণমন ও বন্দেমাতরম দুটি গানই যেন গাওয়া হয়। কারণ বন্দেমাতরম হল আমাদের সুপ্রাচীন ইতিহাসের এক প্রতীক। যদি কোনও নাগরিক প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনওভাবে এই গানের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেন তাহলে সেটাকে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বলে ধরতে হবে। অশ্বিনীর আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে তার বক্তব্য হলফনামার আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র তার পেশ করা হলফনামায় জানিয়েছে, জনগণমন এবং বন্দেমাতরম এই দুই গানেরই সমমর্যাদা প্রাপ্য। এই দুইয়েরই নিজস্ব পবিত্রতা আছে। তাই প্রত্যেক নাগরিকেরই উচিত, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় স্তোত্র বন্দেমাতরমকে সমান সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া। উল্লেখ্য, এর আগে বন্দেমাতরমকে জাতীয় সংগীত হিসাবে ঘোষণার আবেদন উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। যদিও সেই সেই আবেদনটি খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, দুটি সংগীতকে সমান মর্যাদা দেওয়ার কোনও সুযোগ সংবিধানে নেই।