বিজেপি পরিচালিত সমবায়ে গৃহযুদ্ধ অচলাবস্থা, পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা দুই গোষ্ঠীর

সমবায় চালাতে কার্যত হিমশিম বিজেপি। গোষ্ঠীকোন্দলে একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহেশপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে

Must read

সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : সমবায় চালাতে কার্যত হিমশিম বিজেপি। গোষ্ঠীকোন্দলে একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহেশপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে। ইতিমধ্যে সমবায়ের সভাপতি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছেন ওই সমবায়েরই প্যানেল চেয়ারম্যান, সহ সভাপতি-সহ অন্য ডিরেক্টররা। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যে কো-অপারেটিভ ইন্সপেক্টর এবং তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সিইওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বরে ওই সমবায় সমিতির নির্বাচনে ১২ আসনের ১১টি দখল করে বিজেপি। একটি পেয়েছিল তৃণমূল। বেশ কিছুদিন পর ওই সমবায়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ভাল চাকরি পেয়ে অন্যত্র চলে যান। সমবায়ের ম্যানেজারের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ অক্টোবর।

আরও পড়ুন-তিন বছর বয়সে বাবার ক্লাসে প্রতিকার হাতেখড়ি

এই অবস্থায় ম্যানেজারের পদে কাকে বসানো হবে সেই নিয়ে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছে জোর কোন্দল। সূত্রের খবর, মহেশপুর সমবায় সমিতির সভাপতি বিজয় মালি এবং সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ মাইতি ম্যানেজার পদের জন্য ওই সমবায়েরই ডিরেক্টর সত্যরঞ্জন মণ্ডলের নাম সুপারিশ করেছেন। তাঁদের বিরোধী পক্ষ মৃণালকান্তি দাসের নাম সুপারিশ করে। এই নিয়ে সেপ্টেম্বরের ৬ এবং ১৭ তারিখ বোর্ড মিটিংয়েই দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি পর্যন্ত বেঁধে যায়। পরে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করে। গোটা ঘটনায় বিজেপি বোর্ডের আড়াআড়ি বিভক্ততে সমবায়ের যাবতীয় কাজকর্ম কার্যত শিকেয় উঠেছে। চাষিদের ঋণদান প্রায় বন্ধই বলা যায়। প্রয়োজনীয় টাকাও পাচ্ছেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে জট কাটাতে ১৯ অক্টোবর সম্পাদক মিটিং ডাকলেও সেই মিটিংয়ে সম্পাদকপন্থী চারজনের বেশি কেউই হাজির হননি। ফলে সমবায়ে এখন কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ওই সমবায়ের সহ-সভাপতি বুদ্ধদেব মুনিয়ান বলেন, আমরা সমবায়ের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সমবায়ের ইন্সপেক্টর এবং তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছি। এদিকে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর এই কোঁদল নিয়ে নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, গোটাটাই বিজেপির নেতাদের মধ্যে টাকা মারা নিয়ে গন্ডগোল। কে কত পদে বসে টাকা লুটতে পারবে তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। এর ফলে মানুষজন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

Latest article