সংবাদদাতা, বীরভূম : বাম-বিজেপির (BJP- CPIM) সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেউচা পাঁচামি প্রকল্পে বাগড়া দিতে মাঠে নেমেছে বীরভূম জমি জীবন জীবিকা প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা। সেখানকার আদিবাসীরা শিল্পের পক্ষে, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ প্রস্তাবে তাঁরা খুশি। ফলে তাঁরা মহাসভার এই নোংরা রাজনীতি বরদাস্ত করতে নারাজ। প্রথম দফায় মহাসভার দুই নেতা জগন্নাথ টুডু এবং গণেশ কিস্কুকে ঢুকতে দেন না তাঁরা। পরদিন ফের চেষ্টা করলে তাঁদের উত্তম-মধ্যম দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাহিন্দার গ্রেফতারি চেয়ে মামলা
খনিবিরোধী আন্দোলন নিয়ে মহাসভার মধ্যেই বিরোধ সামনে চলে এসেছে। ফেসবুকে গণেশ হেমব্রম নামে এক ব্যক্তি জগন্নাথের (টুডু?) উদ্দেশে লিখেছেন, (পোস্টটি অবশ্য জাগোবাংলা যাচাই করেনি) ‘জগন্নাথ তোদের কিন্তু কেন্দ্রপাহাড়ি গিয়ে এই অত্যাচার করা উচিত হয়নি। সাধারণ মানুষ তো প্রতিরোধ করবেই। তুই তো মহাসভার মূল সিদ্ধান্ত থেকে বিচ্যুত হচ্ছিস। তোর লেগেছে, তোর চিকিৎসার ব্যবস্থা আমাদের মহাসভার পক্ষ থেকে করবো। রতনেরো করবো।… আশা করি, তুই আমার কথা শুনবি এবং শুনলে তোর ভালোই হবে।’
শুক্রবারে ঢুকতে বাধা পেয়েও, খনিবিরোধী আন্দোলনের শামিল করার জন্য ফের দলবল নিয়ে মহাসভার নেতারা কেন্দ্রপাহাড়ি ঢোকার চেষ্টা করে। ক্ষিপ্ত স্থানীয় মানুষ জগন্নাথ ও রতনকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁরা কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তবে কোথায় চিকিৎসা হচ্ছে, গোপন রাখা হয়েছে। চিকিৎসার খরচ বহন করছে মহাসভাই। বিরোধী দলনেতার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এক অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। তারপরই শুক্রবার আন্দোলনের নামে কাজ বন্ধ করার হুমকি দিতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়েন জগন্নাথ ও গণেশরা। শনিবার ফের জুলুম চালাতে গেলে রুখে দাঁড়ান কেন্দ্রপাহাড়ির দিলীপ মারাণ্ডি, কৃষ্ণ মারাণ্ডি, বড়বাবু মুর্মুরা। তাঁদের অভিযোগ, মহাসভা বিজেপি ও বামের (BJP- CPIM) সঙ্গে যোগসাজশ করে আমাদের পেটে লাথ মারতে আসছে।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে প্যাকেজ দিয়েছেন, তাতে সাধারণ মানুষ খুশি। কিন্তু বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছেন বিরোধীরা। কয়লাখনি চালু হলে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। মানুষের উন্নয়ন হবে।’