প্রতিবেদন: ভোটকুশলী হওয়া আর ময়দানে নেমে লড়াই করা এক জিনিস নয়– ভালই বুঝলেন প্রশান্ত কিশোর। বিহারের নির্বাচনে প্রথমবার লড়াই করতে নেমেই ডুবল পিকের জন সুরজ দল। এবারই প্রথম নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিল পিকের দল। চারটি আসনেই বিরাট ব্যবধানে লজ্জার হার পিকের প্রার্থীদের। বিহারের উপনির্বাচনে প্রথমবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে প্রশান্ত কিশোরের নতুন দল জন সুরজ পার্টি। তবে বিহারের চার কেন্দ্রের মধ্যে একটিতেও জয় পায়নি তারা। এমনকী কোথাও দ্বিতীয় স্থানেও আসেনি। তারারি কেন্দ্রে তৃতীয়, রামগড় কেন্দ্রে চতুর্থ, ইমামগঞ্জে তৃতীয় ও বেলাগঞ্জে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের দল।
আরও পড়ুন-ছুটি-বৈষম্য নিয়ে সিআইএসএফের জওয়ানরা কোর্টে
ভোটকুশলী হিসেবে প্রথমে গুজরাতে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচন, পরে বিজেপির অন্যান্য ভোট এবং সবশেষে ২০২১-এর বাংলায় তৃণমূলের ভোট কুশলী হিসেবে কাজের পরে পিকে জানিয়েছিলেন, আর এই দায়িত্বেই থাকবেন না। তিনি তারপর নিজেই দল গঠন করেন। অবশ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার ফল নিয়ে পিকে যা বলেছিলেন তা কিছুই মেলেনি। এমনকী, দেশের নিরিখে গেরুয়া শিবিরের প্রতি যে দুর্বলতা পিকের দেখা গিয়েছিল তার কোনও প্রতিফলন পড়েনি ভোটের বাক্সে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে প্রশান্ত কিশোরকে বলেছিলেন ‘ওভার রেটেড’। এদিন নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে সেই কথাই যেন মিলে গেল। অর্থাৎ ভোটকুশলী হিসেবে বাইরে থেকে যদিও কিছু রণকৌশল সাজিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়া যাওয়ার কাজ করতে পারেন পিকে, তবে রাজনীতির ময়দানে এখনও একেবারেই আনাড়ি তিনি।