প্রতিবেদন : উৎসব কারও প্রাণ কেড়ে নেয় না। উৎসব সবাইকে এক করে। উৎসবমুখর বাংলায় বুধবার জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিলেন। সেইসঙ্গে আসন্ন কালীপুজো ও আলোর উৎসবের আগে তিনি জোর দিলেন সবুজ বাজিতে। তিনি বলেন, রাজ্যে গ্রিন ক্র্যাকার বা সবুজ বাজির (Green crackers) ক্লাস্টার করা হবে। আমাদের সরকারের একটা পলিসি রয়েছে গ্রিন ক্র্যাকার নিয়ে। ফায়ার ক্র্যাকার অনেক সময় প্রাণ কেড়ে নেয়, তাই জোর দেওয়া হচ্ছে গ্রিন ক্র্যাকারে। ব্যবসায়ীদেরও সচেতন হতে হবে। এছাড়া সবুজ বাজিতে (Green crackers) দূষণও কম হবে।
বুধবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক সেরে সশরীরে জানবাজারে গিয়ে পুজোর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা, নির্মল মাজি, জাভেদ খান, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এখান থেকে তিনি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন ছয়ের পল্লির কালীপুজোর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাপস রায়, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় বক্সি প্রমুখ। এরপর তিনি ইন্ডিয়া ক্লাব, ভবানীপুর ভেনাস ক্লাব ও শেক্সপিয়র সরণি সর্বজনীন শ্যামাপুজোর উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে একাধিক পুজোরও ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেক্সপিয়র সরণি সর্বজনীন শ্যামাপুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুব্রত বক্সি, সাংসদ মালা রায় ও তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার প্রমুখ। ভবানীপুরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র প্রমুখ। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সমস্ত পুজো মণ্ডপেই উপস্থিত ছিলেন। জানবাজারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জানবাজার চিরকালই মানুষের জান, মানুষের প্রাণ, মানুষের মান। কালীপুজো ও রানি রাসমণির একটা ইতিহাস গড়ে উঠেছে এই জানবাজারকে ঘিরে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আরও ১০ দেবতার আরাধনা হয়। তিনি বলেন, সামনেই ছটপুজো আছে। একই দিনে জগদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়িয়ে কালীপুজো ও দীপাবলি-সহ সমস্ত উৎসব পালন করার পরামর্শ দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আবার উদ্যোক্তা থেকে পুলিশ প্রশাসন সবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কালীপুজোতেও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসব পালন করুন সবাই। তিনি বলেন, দুর্গাপুজোয় বেরোতে পারিনি, বাড়িতে বসেই ভার্চুয়ালি ১২০০ পুজোর উদ্বোধন করেছি। কালীপুজোয় মা আমাকে ডেকে এনেছেন, তাই সশরীরে মণ্ডপে এসেছি। তবে মঞ্চে উঠতে পারব না, এখনও সিঁড়িতে চড়া নিষেধ রয়েছে।
আরও পড়ুন- সিবিআই-ইডিকে চিঠি দিলেন কুণাল