তোমাদের অধিকাংশ দাবি মানা হচ্ছে। চারমাসের মধ্যে হবে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে। অনশন তুলে নাও। শনিবার, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে মুখ্যসচিবের ফোনে অনশনকারীদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের আবেদন মেনে সোমবার, বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠকে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০জন প্রতিনিধি নিয়ে যেতে হবে।
ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার। শুক্রবার, রাতের সেই থ্রেটের পরে শনিবার বেলা দুটো ধর্মতলার অনশনমঞ্চে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। আর সেখানে মুখ্যসচিবের ফোনে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন অনশনকারী-সহ আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। বারবার তিনি অনুরোধ করেন অনশন তুলতে। জানান, আগের দাবির বেশিরভাগ মানা হয়েছে। বৈঠকে বসতে চাইলে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসুন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই বৈঠক করতে চান। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর অন্য কর্মসূচি আছে। তবে, জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদন মেনে সোমবার ওই বৈঠকের সময় দেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বাংলার ‘সুন্দরিনী’, অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
শুক্রবার সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়রেরা। সেই বৈঠক শেষে দেবাশিস হালদার রীতিমতো সময় বেঁধে দেওয়ার ঢঙে বলেন, “সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাদের দাবি না মানেন, তবে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।” সেই ধর্মঘটে সিনিয়র ডাক্তারেরাও যোগ দেবেন বলে দাবি জুনিয়রদের। এর ২৪ ঘণ্টা মধ্যেই অনশনমঞ্চে গেলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা।
ধর্মতলার মঞ্চে গিয়ে প্রথমে অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব। আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ই মুখ্যসচিবকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়।