লোকসভায় বাংলা ভাগের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বও সেই সুরে সুর মিলিয়ে চক্রান্তে শামিল হয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার উত্তরের জেলাগুলিকে উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া অন্যায্য দাবি জানান। সোমবার, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, বিজেপি উত্তরে এত আসন পেয়েও বাংলার জন্য বাজেটে কিছুই দিল না! একই সঙ্গে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার হয়ে কী কী দাবি জানিয়েছেন সে বিষয়েও স্পষ্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কণ্ঠরোধের ঘটনা নিয়ে এদিন বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়। সেটি সমর্থন করেন তৃণমূল বিধায়করা। অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিজেপি বাংলাভাগের চক্রান্তের বিরোধিতায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ভোট চলে গেলেই ভাগাভাগি ইস্যুকে নিয়ে আসা হয়। এক জন বলছেন, মুর্শিদাবাদ-মালদহ ভেঙে দাও। কেউ বলছেন, অসমের তিনটি জেলাকে নিয়ে নতুন কিছু কর। কেউ আবার উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে বলছেন।“
আরও পড়ুন: কেজরির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল সিবিআইয়ের
বাজেটে বাংলা তথা উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা নিয়ে বিধানসভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উত্তরবঙ্গ থেকে এত আসন পেল ওরা, তবু বাজেটে কিছু দিল না! এখন আবার বিভাজনের রাজনীতি করছে।“ মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, বাংলাকে কোনও ভাবেই ভাগ করতে দেওয়া হবে না। বিজেপির এই ষড়যন্ত্রের বিরোধিতায় প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নীতি আয়োদের বৈঠকে বাংলার বঞনার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বলেন, “নীতি আয়োগের বৈঠকে ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন নিয়ে বিশদে কথা বলে এসেছি। বাংলা হল নৌকার মতো। সব জল আমাদের রাজ্যে এসে পড়ে। আমাদের ভুগতে হয়। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রেকর্ড করে এসেছি।“ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “জল নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার কপি তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের কাছে পাঠানো হোক। তাঁরাও যেন এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন।“