”এটা পূর্বপরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক অশান্তি। অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে, অশান্তি করা হয়েছে। যদি তৃণমূলই এসব করত, তাহলে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের বাড়িতে হামলা হতো না”- বুধবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেনদের সমাবেশ থেকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। একই তিরে বেঁধেন কংগ্রেসকেও। বলেন, মুর্শিদাবাদের যেসব এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছে, সেসব আসলে মালদহের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেটি কংগ্রেসের জেতা আসন। কংগ্রেসের উচিত ছিল, উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায় অশান্তি ছড়ায়। এর তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছে, সেসব আসলে মালদহের লোকসভার অন্তর্গত। সেটি কংগ্রেসের জেতা আসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, কংগ্রেসের উচিত ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। জনপ্রতিনিধি হলে দায়িত্ব পালন করতে হয়।
আরও পড়ুন- ওয়াকফ-হিংসায় মৃতদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী! BSF-এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ
এর পরেই সুর চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ”এটা পূর্বপরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক অশান্তি। অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে, অশান্তি করা হয়েছে। যদি তৃণমূলই এসব করত, তাহলে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের বাড়িতে হামলা হতো না। তাঁদের আক্রান্ত হতে হতো না। আমি কোনও প্ররোচনামূলক কথা বলতে আসিনি। আমি এসেছি আজ শান্তির বার্তা দিতে।”
কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বিজেপি এজেন্সির মাধ্যমে বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে অশান্তি তৈরি করা হচ্ছে। রামনবমীতে পরিকল্পনা ছিল দাঙ্গা বাঁধানোর। কিন্তু আপনারা সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে শান্তি বজায় রেখেছেন। এর জন্য ধন্যবাদ আপনাদের। মনে রাখবেন, ওরা ওয়াকফ নিয়েও অশান্তি করার চেষ্টা করবে। রুখে দিন।”
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের নিয়ে সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”মিটিংটা আমি ডাকেনি, সব ইমামরা ডেকেছেন। আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাই আমি এসেছি।” তাঁর মতে, ”আমার যেমন অধিকার নেই ব্যাক্তিগত সম্পত্তির উপর অধিকার করা, তেমনি আপনারও অধিকার নেই কারোর ব্যাক্তিগত সম্পত্তির উপর অধিকার নেওয়া। আমাদের সাংসদের কোর্টে কেস-ও করেছে।”
বিজেপি-কে সরাসরি আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন, ”আপনারা ফেক নিউজ তৈরি করছেন। বাংলায় বিজেপি-এর কথায় কেউ উত্তেজিত হয়ে কেউ অশান্তি করবেন না।”