প্রতিবেদন : ষোড়শ অর্থ কমিশনের সঙ্গে বৈঠকেও রাজ্যের বঞ্চনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অর্থ কমিশনের সভাপতি ড. অরবিন্দ পানাগরিয়ার নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল বিকেলে রাজ্য সচিবালয় লাগোয়া নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, রং ব্যবহার না করলে কেন টাকা দেবে না কেন্দ্র? এ-ধরনের প্রকল্পে রাজ্যেরও ৪০ শতাংশ টাকা থাকে। তবে কেন কেন্দ্রের নাম ব্যবহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়? এই প্রশ্নগুলির কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কমিশনের কর্তাব্যক্তিরা। বৈঠকে একটি-একটি দফতর ও প্রকল্প ধরে-ধরে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়ে দিলেন কীভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। তাঁর সংযোজন, কেন্দ্রের সব নির্দেশ মানার পরেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, এক-একটা প্রকল্পের কাজ দেখার জন্য একাধিকবার কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এসেছে, তারপরেও বরাদ্দ ছাড়া হয়নি। এমনকী গত কয়েক বছরে একাধিকবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেন্দ্রের সাহায্য মেলেনি। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রভৃতি নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। বরং শুধুমাত্র নামকরণের অজুহাত দিয়ে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এখনও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়নি। এর মধ্যেই ষোড়শ অর্থ কমিশনের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে দেখে সেখানকার আর্থিক দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বিষয়গুলি বুঝে নিতে চাইছেন। সেই কারণেই বুধবার রাজ্য সফরে এসে কমিশনের সদস্যরা সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে ছিলেন।
আরও পড়ুন- সচেতনতা বাড়াতে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার, প্রকাশিত কমিক্স বই
অর্থ কমিশন বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অনুদানের পরিমাণ, কর ও রাজস্বের সুষম বণ্টন নিয়ে সুপারিশ করে। ফলে ষোড়শ অর্থ কমিশনের রাজ্য সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আর সে-কথা মাথায় রেখেই একঝাঁক মন্ত্রী নিয়ে বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) ও অন্যান্য মন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, অর্থসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর অর্থ-বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা প্রমুখ।