প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ডাঃ প্রণবকুমার বিশ্বাস (Dr. Pranab Kumar Biswas)। বুধবার সকালে আলিপুরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কলকাতার ৮২ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। এদিন বিকেলে ক্যাওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বর্ষীয়ান তৃণমূল কাউন্সিলরের। দীর্ঘদিনের সতীর্থের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, আজ সকালে ডাঃ প্রণব বিশ্বাস ৯১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এই খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন। ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা পুরসভার ৭৪ এবং ৮২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অনুগামীদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম লিখেছেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের দলের বর্ষীয়ান নেতা এবং চেতলা অঞ্চলের ৮২ এবং ৭৪ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ডাঃ প্রণব বিশ্বাস পরলোকগমন করেছেন। প্রণবদা আমাদের চেতলার প্রত্যেক পরিবারের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তাই আমরা আজ তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
আরও পড়ুন- পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এখনই বদলাচ্ছে না সিলেবাস!
২০১০ সালে ভবানীপুরের ৭৪ নং ওয়ার্ড থেকে জিতে প্রথমবার কাউন্সিলর হন ডাঃ প্রণবকুমার বিশ্বাস (Dr. Pranab Kumar Biswas)। ২০১৫ সালের পুরভোটে ওই ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হলে তাঁকে ৮২ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী করে দল। ওই ওয়ার্ডেও বিপুল ভোট জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য কাউন্সিলর নির্বাচিত হন প্রণববাবু। কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎই প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সেই পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তখন ফিরহাদ নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন না। তাই মেয়র পদে বসার ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে কাউন্সিলর হতে পারবেন বলে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে আইন আনা হয়। সেইসময় দলের স্বার্থে ৮২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে সরে দাঁড়ান প্রণববাবু। মেয়র পদে বসে ওই ৮২ নং ওয়ার্ড থেকেই জিতে কাউন্সিলর হন ফিরহাদ।