উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য সাম্মানিক এই ডি-লিট সম্মান পেয়ে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (D.litt- Mamata Banerjee)। এদিন বলেন, “এই সম্মানের জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তবে আমি সাধারণ মানুষ হয়েই থাকতে চাই। প্রতিনিধিত্ব করতে চাই সমাজের দুর্বল শ্রেণির।” পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডি-লিট (D-litt) সম্মানে ভূষিত হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(D.ltt- Mamata Banerjee)। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন এই সম্মান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ১৪টি মন্দিরে হামলা দুষ্কৃতীদের, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল দেবদেবীর মূর্তি
এদিন সাম্মানিক ডি’লিট গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি আপ্লুত। আমি আবেগতাড়িত। গোটা সেন্ট জেভিয়ার্স (St. Xavier’s University) পরিবারকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সম্মানে আমি অভিভূত।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি তোমাদেরই লোক। আমি একজন সাধারণ মানুষ। তাই এই সম্মান আমি সাধারণ মানুষকেই উৎসর্গ করতে চাই।” এছাড়াও দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও পড়ুয়াদের সামনে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশে সাম্য ও ঐক্য বজায় রাখা জরুরি। গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে রক্ষা করতে আমাদের লড়াই চলবে।” একইসঙ্গে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “কখনও অবসাদগ্রস্ত হবেন না, নেতিবাচক হবেন না। সর্বদা ইতিবাচক থাকবেন, মানুষের কথা ভাববেন।”
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে এই সম্মান দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৎকালীন আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়ার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যলয়ের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ডি-লিট সম্মান দিল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়।