আমি দিদি হিসেবে বলছি কাজে ফিরুন- শনিবার দুপুরে আচমকা স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে গিয়ে আবেদন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, আমি আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাই। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। মমতা বন্দ্যোপাদধ্যায়ের কথায়, “তিলোত্তমা বিচার পাক আমিও চাই। ৩ মাসের মধ্যে দোষীদের ফাঁসি হোক।“
বৃষ্টি ভেজা দুপুরে হঠাৎ জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) প্রথমেই এই আন্দোলনকে কুর্নিশ জানান। বলেন, “আমার নিরাপত্তাজনিত নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমি নিজে ছুটে এসেছি। আমি ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা লোক।“ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, গতরাতে সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের কথা ভেবে তাঁর ঘুম হয়নি। তাঁর কথায়, “আপনারা যে ভাবে বসে আছেন, আমার মানসিকভাবে কষ্ট হচ্ছে। গত ৩৪ দিন ধরে আমিও রাতের পর রাত ঘুমোইনি। কারণ, আপনারা রাস্তায় থাকলে আমাকেও পাহারাদার হিসাবে জেগে থাকতে হয়। আমার পোস্ট বড় কথা নয়। আপনারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। আর কষ্ট না করে যদি আপনারা কাজে ফিরতে চান, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আপনাদের দাবিগুলো সহানুভূতির সঙ্গে খতিয়ে দেখব। ভাবব, চিন্তা করব। যদি কেউ দোষী হয়, সে শাস্তি পাবেই।“
আরও পড়ুন-গেরুয়া ত্রিপুরায় নাবালিকাকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে-সহ ২
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, “যদি কাজে ফিরতে চান, তাহলে আপনাদের দাবিগুলি সহনভূতির সঙ্গে বিচার করব।“ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান স্পষ্ট জানান, “আমিও চাই তিলোত্তমার বিচার পাক আমি চাই। কেস সিবিআইয়ের হাতে। আমি তাদের বলবে ৩ মাসের মধ্যে দোষীদের ফাঁসির ব্যবস্থা করুক।“ তাঁর কথায়, “যদি আপনাদের আমার উপর আস্থা, ভরসা থাকে। আমি বলতে পারি, আপনাদের উপর কোনও অবিচার করব না। আমাকে সময় দিন, আমি সাধ্য মতো চেষ্টা করব। আপনাদের অভিযোগ থাকলে আমি নিশ্চয় দেখব। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নই, আপনাদের কাছে দিদি হিসেবে বলতে এসেছি। আমি মনে করি অনেক মানুষও মারা যাচ্ছে, দয়া করে কাজে যোগদান করুন।“
মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে আশ্বাস দেন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, “আমি আপনাদের প্রতি কোনও অবিচার করব না। আমি ইউপি পুলিশ নই। আমি এসমা জারি করব না। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেব না। শুধু বিনীত অনুরোধ, নিজেদের মধ্যে কথা বলে কাজে ফিরুন।“