এবার রাজ্য সঙ্গীতকেও জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদায় গাইতে হবে। সোমবার, বিধানসভায় মিউজিয়াম উদ্বোধন করে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানান, জাতীয় সঙ্গীতের মতো এবার রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার সময়ও উঠে দাঁড়াতে হবে। কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বাংলার মাটি বাংলার জল” গাওয়া হবে- জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভায় অত্যাধুনিক মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিধানসভা ও পরিষদীয় রাজনীতির ইতিহাসকে ধরে রাখতে বিধানসভার ফাঁকা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে পাঁচতলা মিউজিয়াম। বাংলার ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা স্থাপত্যের মাধ্যমে। শিল্পীদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বলেন, “গায়ের ঘামটাও ফুটিয়ে তুলেছেন। শিরা, উপশিরাও বোঝা যাচ্ছে। কী সৃষ্টি করেছেন শিল্পীরা!” সব থেকে নেতাজি ও গান্ধীজির মূর্তি তাঁর পছন্দ হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, আগামীদিনে মিউজিয়ামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম ও আম্বেদকরের মূর্তিও রাখার জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যাককে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বাংলাকে ‘অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ’ করতে চাইছে কেন্দ্র, লোকসভায় অভিযোগ সুদীপের
বাংলার সংস্কৃতি, স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকা নিয়ে বলতে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আক্ষেপ, “বাংলাকে নিয়ে গর্ব করার মতো কত কিছু আছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে ভুলে যাচ্ছি। বরং নিজেরা নিজেদের বেশি সমালোচনা করছি।”
বিধানসভার বিভিন্ন জিনিস, ঐতিহাসিক নথি থাকবে ওই মিউজিয়ামে। ঐতিহাসিক ঘটনার দলিলের পাশাপাশি বিধানসভার কার্যবিবরণীও থাকবে সেখানে। রাজনৈতিক তর্ক, সওয়াল-জবাব সবই সংরক্ষণর জন্য থাকছে লাইব্রেরি। অডিও-ভিজুয়াল রুম, অডিটোরিয়াম, ডিজিটাল রেকর্ডস রুম সবই থাকছে মিউজিয়ামে। অত্যাধুনিক টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তিতে রাজ্যের অনেক অজানা ইতিহাস স্ক্রিনে স্পর্শ করলেই ফুটে উঠবে। এই মিউজিয়ামে ঢুকতে পড়ুয়াদের কোনও খরচ লাগতে না। আই কার্ড দেখিয়ে বিনামূল্যে ঢুকতে পারবে তারা।