আজ পঞ্চমী। বোধনের আগে দিকে দিকে মাতৃ আরাধনার সুর। রবিবারও একাধিক পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর বডিগার্ড লাইনের পুজো দিয়ে শুরু। সেখানে নেপালিদের একটি পুজোর উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকেই একে একে ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন জেলার পুজোগুলি।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রচারকদের তালিকায় নেই কেন? জানিয়ে দিলেন বাবুল নিজেই
মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হওয়া জেলার পুজোগুলির মধ্যে এদিন দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তার দুর্গাপুজো ছিল অন্যতম। রিমোটের বোতাম টিপেই মণ্ডপের দরজা খুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মোট ২০ জেলার ২৩৭ টি পুজোর সূচনা এভাবেই করলেন মমত বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার দিন থেকে শুরু করে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশোটি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বিখ্যাত নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘে। মা দুর্গার সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে, ফুল দিয়ে পুজোর সূচনা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরুচি সঙ্ঘ মানেই নতুন কিছু। করোনাভাইরাসের কথা মাথায় রেখে সুরুচি সঙ্ঘের এবারের থিম ‘আবদার।’ লকডাউনে ঘরবন্দি শিশুমনের যন্ত্রণার কথাই তুলে ধরা হয়েছে এই থিমে। অভিনব মণ্ডপ সাজানো হয়েছে ছোটদের জামা-কাপড় দিয়ে। টাঙানো হয়েছে পুরনো কলকাতার বিভিন্ন দোকানের সাইনবোর্ড। ব্যবহার করা হয়েছে পুরনো দিনের কালজয়ী সিনেমার পোস্টারও।
আরও পড়ুন: অঞ্জলি থেকে বিসর্জনের সময়, একনজরে ২০২১ সালে দুর্গাপুজোর নির্ঘন্ট
এদিন সবশেষে তিনি যান চেতলার নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমে। প্রতি বছরের মতো এবারও এখানকার আবাসিকদের সঙ্গে গানে-গল্পে আড্ডা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের জন্য পুজোর উপহারও নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। এবারও তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও ইন্দ্রনীল সেন।