প্রতিবেদন : শুরু হল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে নতুন এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সপ্তাহে ৬ দিন— সোম থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ফোন করা যাবে। ফোন নম্বর হল ৯১৩৭০-৯১৩৭০। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র (Sorasori Mukhyamantri) মাধ্যমে সবস্তরের মানুষের অভিযোগের সমাধান করা হবে। এদিন একইসঙ্গে রেল দুর্ঘটনা ও তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবারও বলেন, আমি চাই সত্যিটা সামনে আসুক। আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে এসব করা হচ্ছে। দু’দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ হয় না। এটা কোনও ছোট ঘটনা নয়। আগে কেন সিবিআইয়ের কথা বলেনি! তাঁর সংযোজন, আমি আগে কিছু বলিনি। কারণ, উদ্ধার কাজ করা, আহতদের চিকিৎসা, বাড়ি পাঠানো, ক্ষতিপূরণ দেওয়া— সর্বোপরি অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোটাই তখন আমার কাছে অগ্রাধিকার ছিল।
এদিকে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এদিন পুনরায় তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেলের বেহাল পরিকাঠামো সম্পর্কে সিএজির রিপোর্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেলে নিরাপত্তা তহবিলের টাকা দিয়ে ফুট ম্যাসিওর কেনা হয়েছে। এটা বিরাট বড় কেলেঙ্কারি। দুর্ঘটনার তদন্ত দুদিনের শেষ হয়ে গেল! এত তাড়াহুড়ো কেন। আসল তথ্য লুকানোর চেষ্টা চলছে। সিবিআইকে বলা হচ্ছে সব চেপে দিতে। আর এসব থেকে নজর ঘোরাতে ঘরে ঘরে সিবিআই পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- নবজোয়ার কর্মসূচি চলবে তবে আজ কল্যাণীতে হবে শেষ অধিবেশন
‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ (Sorasori Mukhyamantri) কর্মসূচি চালু হওয়ার পর গ্রামগঞ্জ থেকে শহর— সব জায়গার মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে ৫০০ কল সেন্টার তৈরি হয়েছে। এমনিতেই নবান্নে তাঁর কাছে অভিযোগ আসে। তবে এবার থেকে সব অভিযোগ সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তৃণমূল স্তরে মানুষের অভিযোগের যাতে যথাযথ নিরসন হয় তা নিশ্চিত করতে তিনি সব দফতরের প্রধান সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন।
কালো টাকা উদ্ধারের নামে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামাঞ্চলে লুটপাট চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিস্ফোরক তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, বিএসএফ এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে লোকের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে। তাদের সামান্য জমানো টাকা, গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করছে। নিয়ম মেনে তার কোনও সিজার লিস্ট দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে ওই সব এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশকে এই বিষয়টির ওপর সক্রিয়ভাবে নজরদারি চালানোর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন। কোন কোন জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে তার তালিকা তৈরি করে ফেরত দেওয়া হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।