আজ রাজবংশী সমাজের প্রাণপুরুষ, রায়সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা-র প্রয়াণদিবস। শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata banerjee)।
এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,”আমি মনে করি, এই মহান প্রাণের মৃত্যু নেই। তাঁর ভাবনা ও আদর্শ সারা দেশের মানুষকে আগেও উদ্বুদ্ধ করেছে, এখনো করছে, আগামীদিনেও উদ্বুদ্ধ করবে।
এটা আমার গর্ব, তাঁকে সম্মান জানিয়ে আমরা তাঁর নামে কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মস্থান, খলিসামারির পুণ্যভূমিতে এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসও চালু হয়েছে। ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণাও করা হয়েছে। তাঁর বাড়িকে সংস্কার করে ‘পঞ্চানন বর্মা সংগ্রহশালা ও গবেষণাকেন্দ্র’ নামে মিউজিয়াম স্থাপন এবং ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার পূর্ণাবয়ব মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
রাজবংশী মানুষদের জন্যও আমরা অনেক কিছু করেছি – রাজবংশীকে সরকারী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আমরা কামতাপুরী, সাঁওতালী, কুরুখ, কুড়মালী, নেপালী, হিন্দি, উর্দু, রাজবংশী, ওড়িয়া, পাঞ্জাবী, তেলুগু ভাষাকেও সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছি। সাদরি ভাষার মানোন্নয়নেও আমরা সচেষ্ট হয়েছি।
রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, রাজবংশী কালচারাল একাডেমি, রাজবংশী ভাষা একাডেমি, কামতাপুরী ভাষা একাডেমি গঠন করা হয়েছে । প্রায় ২০০টি রাজবংশী স্কুলকে সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশে ‘নারায়ণী’ ব্যাটেলিয়ন গঠন (হেডকোয়ার্টার – মেখলীগঞ্জ) করা হয়েছে। বাবুরহাটে মহাবীর চিলা রায়ের ১৫ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের মূর্তি বসানো হয়েছে।
কোচ – কামতাপুরী – রাজবংশী জনসাধারণের ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে কোচবিহার শহরটিকে হেরিটেজ শহর হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।”