টানা বৃষ্টি চলছে উত্তরে। প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে করলা, জলঢাকা, তিস্তা নদী। ফলে আশঙ্কা রয়েছে বন্যার। এর জন্য ফের কেন্দ্রকেই দায়ী করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,”উত্তরবঙ্গে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে, আমি রিপোর্ট থেকে দেখেছি।”
ভুটান থেকে জল আসার কারণে ভুগতে হচ্ছে বাংলাকে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, গঙ্গার ভাঙন রোধে এক পয়সাও খরচ করেনি কেন্দ্র। ডিভিসি যখন খুশি জল ছেড়ে দেয়, ফলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। আয়েত্রী নদীর উপর বাঁধ তৈরির সময় রাজ্যকে জানানো হয়নি বলেও উষ্মাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ৫৩ বছর আগেও ঘটেছিল এমন! রথযাত্রার দ্বিতীয় দিনেও ভক্তদের ঢল জগন্নাথধামে
ধসের জন্য শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সিকিমের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সিকিম যখন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র করল, তখন কেন্দ্রের দেখা উচিত ছিল। জলপাইগুড়ির মানুষ জানেন, আগে করোলা নদী ভাসত। আমরা ২০ কোটি টাকা খরচ করে ব্যবস্থা করেছি। ভুটানের জল এসে আলিপুরদুয়ার ভাসে। জলপাইগুড়ি ভাসে।”
উত্তরে একের পর এক ধস নামছে বিভিন্ন জায়গায়। আতঙ্কে পাহাড়বাসী। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “কোটি কোটি টাকা খরচ করেও কিছু করতে পারছি না। উত্তরবঙ্গে ধস নামলে সেনার উচিত খেয়াল রাখা। তাঁরা সেখান থেকে যাতায়াত করেন।” তাঁর সংযোজন,”জলপাইগুড়ি, মাল ক্ষতিগ্রস্ত। ৯টি ত্রাণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ৫০০ জন রয়েছে।”
বন্যায় মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ব্যবস্থার উল্লেখ করে জানিয়েছেন,”প্রয়োজনে সেচ দফতরে শিফটিং ডিউটি করা হবে। প্রয়োজনে ছুটি বাতিল হতে পারে।” একইসঙ্গে রেলকে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, “টাকা দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। সে সময় অভিযোগ করা হয়, রেলের জায়গায় জল জমছে। তা পরিষ্কার হচ্ছে না বলে সমস্যা হচ্ছে। এর পরেই রেলকে কড়া বার্তা। তাঁর কথায়,”জল জমলে রেলকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখান থেকে কম টাকা পান না তারা। ব্যবস্থা করতে হবে। জল জমলে ডেঙ্গির আশঙ্কা।”
কোচবিহারে ত্রাণ কেন্দ্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,”ত্রাণ দেওয়া হয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষকে। কোচবিহারে মাথাভাঙা সাবডিভিশন ক্ষতিগ্রস্ত। ১২টি ত্রাণ কেন্দ্র, ৬টি কিচেন চলছে। ৫০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।”