রাজধর্ম পালন মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

প্রতিবেদন : যুবভারতী-কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। আসলে রাজধর্ম পালন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। স্টেডিয়ামে ভাঙচুরের তিনদিনের মাথায় প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। এই ঘটনায় সাসপেন্ড হলেন বিধাননগরের ডিসি অনীশ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শো-কজ করা হল রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, বিধান নগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমার এবং ক্রীড়া দফতরের প্রধান সচিব রাজেশকুমার সিনহাকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। অপসারিত যুবভারতীর সিইও দেবকুমার নন্দন। কমিটির তরফে বলা হয়েছে, সিট গঠন করে ঘটনার তদন্ত হবে। প্রথা-বহির্ভূতভাবে কী করে জলের বোতল মাঠে ঢুকল, সেই প্রশ্নও তুলেছে কমিটি— যার মধ্যে রয়েছেন ডিরেক্টর (সিকিওরিটি) পীযূষ পান্ডে, এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম, দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সুপ্রতিম সরকার এবং বারাকপুরের কমিশনার মুরলিধর।

শনিবার লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বেনজির বিশৃঙ্খলার পর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আর্জেন্টাইন মহাতারকা মাঠ ছাড়তেই গ্যালারি থেকে বোতল ছোঁড়া হয়, ভেঙে ফেলা হয় ব্যানার। তারপর ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা ছাড়েন মেসি। গোটা ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার কমিটির সদস্যরা মাঠ ও গ্যালারির বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন। সোমবার রাতেই রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। মঙ্গলবার সকালে সেই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, সাধারণত যুবভারতীতে জলের বোতল নিয়ে প্রবেশের অনুমতি নেই। সেদিন কেন জলের বোতলের স্টল ছিল স্টেডিয়ামের মধ্যে? দায়িত্বে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। সেই সঙ্গে সিট গঠন করে যুবভারতী ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তের কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- মেসির অনুষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা, ইস্তফার ইচ্ছে প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ক্রীড়ামন্ত্রীর

উল্লেখ্য, যুবভারতীতে ভাঙচুরের পরেই গ্রেফতার করা হয় অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। শনিবার যুবভারতীতে যে বিভিন্ন সংস্থা দায়িত্বে ছিল, তলব করা হয়েছে সেই সংস্থার প্রতিনিধিদেরও। মোট ৬ জনকে মঙ্গলবার থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। জল সরবরাহ, টিকিট বিতরণের মতো কাজের দায়িত্ব ছিল এই সংস্থাগুলির উপর। মেসির সফরের সময় তাদের কাজে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ওই ৬ জনকে। পাশাপাশি, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মাঠের ভিতর কীভাবে খাবার ও জলের বোতল ঢুকল, তা নিয়েও তদন্ত করা হবে। বিচারপতি রায় বলেন, আমরা দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রশ্ন করে জানতে পেরেছি, স্টেডিয়ামের ভিতরে স্টল হয়েছিল। তবে এখনও সবটা তদন্তসাপেক্ষ। আমরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছি, সেদিন যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, এটা তাঁদের দেখা উচিত ছিল। তাই আমরা সরকারের কাছে বলেছি, ওঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

Latest article