বাংলায় কিছু হলেই হইচই, অন্য রাজ্যে ঘটলে মুখে লিউকোপ্লাস্ট!

Must read

প্রতিবেদন : বাংলায় কিছু হলেই ধেয়ে আসে সমালোচনা, চিৎকার-চেঁচামেচি। কিন্তু অন্য রাজ্যে যখন সেই একই ঘটনা ঘটে তখন মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে রাখে, একটাও প্রতিবাদ কেউ করে না। বডিগার্ড লাইনসে পুজো উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যের বদনামকারী, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে এভাবেই চড়া সুরে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বরাবর বলে এসেছেন অপরাধের কোনও ধর্ম-বর্ণ-জাত হয় না। যে অপরাধী, তার রং বিচার না করেই শাস্তি দিতে হবে। এই দিনও ফের একই কথা শোনা গেল তাঁর গলায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দু’-একটা ঘটনা কখনও কখনও ঘটে গেলে বাংলায় চিৎকার-চেঁচামেচি, হাহাকার বেশি হয়। সেই অধিকার মানুষের রয়েছে। কিন্তু যখন একই ঘটনা অন্য জায়গায় ঘটে তখন মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে রাখে সকলে। একটাও প্রতিবাদ করে না। মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে জানান, আজকালকার দিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেরিয়েছে। সেখানে একজনের শরীর, মুখ, গলার আওয়াজ দিয়ে হুবহু নকল করে ভিডিও বানানো যাচ্ছে। তাঁর কথায়, যারা সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে বেশি যুক্ত রয়েছে তারাই এই ধরনের চক্রান্তে মদত দিচ্ছে। বর্তমানে যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি করের নির্যাতিতা মৃতা চিকিৎসকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সেবিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ষিতাদের নিয়ে এত মিডিয়া ট্রায়াল করা যায় না, এতে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
এদিকে আরজি করের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশকে কোণঠাসা করছে কিছু চক্রান্তকারী সুযোগসন্ধানী। মূলত নিজেদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি ঢাকতেই পুলিশের দোষ ধরতে ব্যস্ত তারা। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশ অনেক কাজ করে, পুজোর সময় দিন-রাত জেগে পাহারা দেয়, বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় নৌকো নিয়ে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। এই ভাল কাজ কেউ মনে রাখে না। হাজারটা কাজের মধ্যে অজ্ঞাতভাবে একটু ভুলত্রুটি হয়ে গেলে সেটাকে নিয়ে অনেকেই উল্টোপাল্টা কথা বলে, চক্রান্ত করে, কুৎসা করে। অথচ তারা জানে না আর্মির যে সম্মান রয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে সম্মান রয়েছে, বেঙ্গল ও কলকাতা পুলিশের সেই সম্মান রয়েছে। যারা কাজ করে ভুল তাদেরই হয়।

আরও পড়ুন: পুজোর মুখে সুখবর, বেতন বাড়ল বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের

ট্রাফিকরা বর্ষার সময় ভিজে, গরমে ঘেমে কাজ করে, তখন তাদের কাজ চোখে পড়ে না। কোথাও আগুন লাগলে দমকলকে আগে জায়গা করে দেয়, অ্যাম্বুল্যান্সকে গ্রিন করিডর করে এগিয়ে নিয়ে যায়, এই সমস্ত ভাল কাজ কেউ মনে রাখে না।
আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের গ্রেফতারির পর আর কোনও গ্রেফতার হয়নি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কাউকে যদি বিনা অপরাধে অপরাধী করা হয় তাহলে যে আসল অপরাধ করেছে সে আদৌ শাস্তি পাবে তো?

Latest article