জগন্নাথধামের চূড়ায় সোলার হ্যালো: বিরল দৃশ্য দেখে আপ্লুত হল বাংলা, সমাজমাধ্যমে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: বুধবার সকালে এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন দিঘার মানুষ। সূর্যের চারদিকে দেখা গেল রামধনু রঙের আলোকবৃত্ত। দিঘায় জগন্নাথধামের চূড়ায় এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান পর্যটকেরা। বুধবারের এই ঘটনার ছবি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধ্যাত্মিকতার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, দিঘার জগন্নাথধামে (Jagannath dham) প্রভু শ্রীকৃষ্ণের আগমনবার্তা নিয়ে এল রামধনুর আলোকবৃত্ত।

সকাল ১১টা : বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ জগন্নাথধামের (Jagannath dham) চূড়ায় দেখা যায় এই দৃশ্য। প্রায় ঘণ্টাখানেক স্থায়ী ছিল আলোকবৃত্তটি। জন্মাষ্টমীর ক’দিন আগে এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনায় অনেকেই আধ্যাত্মিকতায় বুঁদ হয়ে পড়েন। ছবি ফোনবন্দি করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পর্যটকদের মধ্যে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গিয়েছে। সোলার হ্যালো মিলিয়ে যাওয়ার পরেই কয়েক জায়গায় নামে বৃষ্টি।

আরও পড়ুন-ইংলিশ চ্যানেল জিতে ফিরলেন আফরিন, উচ্ছ্বসিত শহর

বিজ্ঞানীরা কী বলছেন : জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটিকে বলছেন সোলার হ্যালো। আলোর বিচ্ছুরণের ফলেই এই বৃত্ত দেখা যায়। বহু সময় সূর্য এবং চাঁদের ক্ষেত্রে এই রঙিন বৃত্ত দেখা গিয়েছে। লোকমুখে প্রচলিত, এই বৃত্ত যদি চাঁদের পাশে দেখা যায় তাহলে ঝড়-বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে পারে। সূর্যর ক্ষেত্রে এই বৃত্ত দেখা দিলে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে।

আসলে কী : জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণ হল, আকাশের উচ্চস্তরে বরফকণার মধ্য দিয়ে সূর্যালোক স্থানান্তরের সময় আলোর বিচ্ছুরণ ঘটার ফলেই তৈরি হয় এই সোলার হ্যালো। মূলত বৃত্ত আকৃতির হলেও আসলে এটি ষড়ভূজাকার। বিচ্ছুরণের সময় বৃত্তের আকৃতি ধারণ করে। তা থেকেই রামধনু বৃত্ত তৈরি হয়। এটি মূলত ২২ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের এডুকেশন অফিসার বিশ্বরূপ দাস বলেন, সূর্যের কাছে যখন আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে তখন বরফের কুচি থেকে আলো পাস করায় এই বৃত্ত দেখা যায়। এটি মূলত একটি আলোকীয় ঘটনা। আলোর প্রতিসরণের ফলেই এমন ঘটনা দেখা যায়।

Latest article