প্রতিবেদন : জনগণের পকেট মেরে আত্মপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। মিথ্যা প্রচার করছে। জনগণের সব টাকা লুঠ করেছে। শনিবার হুগলি ও হাওড়ার জোড়া সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল বিজেপির আত্মপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা দিতে টাকা থাকে না। আমরা পর পর পাঁচ বছর একশো দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি, গ্রামীণ রাস্তায় প্রথম হয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও টাকা দেয় না। মনে রাখবেন, মোদির ভিক্ষায় বাংলা চলে না। মিথ্যাবাদী একখানা। এরা দুর্যোধন-দুঃশাসনের থেকেও ভয়ঙ্কর।
ছুঁড়ে ফেলে দেব : এদিন মমতা বন্দ্য্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেন, বিজেপির একজন প্রার্থী ফোন করে আমাদের নেতাকে বলেছে, এবার যদি বসে না যাস, তাহলে ভোটের পর দেখে নেব। কত বড় ভদ্রলোক, যে তৃণমূলকে ভয় দেখাচ্ছে! তৃণমূল কাউকে ভয় পায় না। ৩৪ বছর লড়াই করে সিপিএমকে যদি ছুঁড়ে ফেলতে পারি, তা হলে আপনাকেও লড়াই করে ভারতবর্ষ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেব, এটা মাথায় রাখবেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাত দিয়ে দেখো : তিনি বলেন, ক’দিন আগে বিজেপির একজন বলল তিন মাস বাদে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তুলে দেব। আমি বলি, হাতটা দিয়ে দেখো। তার পর কী করতে হয়, তারপরের লড়াইটা দেখো। আমি এখনও বেঁচে আছি। সারা জীবন আমি কম মার খাইনি। কিন্তু আমাকে ধমকে, চমকে কাজ হবে না। আপনি যদি চমকে বলেন— এটা করতে হবে, ঠাসিয়ে দুটো চড় মারব। আমি ঘরেও শাসন করি, বাইরেও করতে পারি। প্রসঙ্গত তিনি জানিয়ে দেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কোনওদিন বন্ধ হবে না, সারাজীবন চলবে।
তুমি আসবে, কাজ করবে : তৃণমূল সুপ্রিমো সপ্তগ্রামের সভা থেকে বলেন, রচনা ভোটে দাঁড়াতে চাইছিল না। আমাকে বলেছিল, দিদি আমি কোনওদিন রাজনীতি করিনি। আমি ওকে বলি, আমরা কেউই বুঝতাম না। মানুষের কাজ করব বলেই আসা। একজন দু-জন দুষ্ট হতে পারে, মিষ্টিও তো আছে। রচনাকে আমি বোঝালাম। তুমি আসবে, কাজ করবে। এখানে দাঁড়ালে তোমার সুবিধাই হবে। দিদি নম্বর ওয়ানে আরও অনেক কিছু করতে পারবে। গরিব-মা বোনেদের অনেক কাজ দেখাতে পারবে। রচনাকে রাজি করালাম, আপনারা কি ওকে ভোটটা দেবেন না? অনেক আশা নিয়ে ওকে দাঁড় করিয়েছি।
আরও পড়ুন-ভাষা-সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের হোতা বিজেপিকে একটিও ভোট নয়
বজ্জাতি, ভোকাট্টা হবে বিজেপি : তিনি বলেন, কোনওদিন ১০ তারিখের পর নির্বাচন হয়েছে? নলেজে নেই। হজযাত্রা রয়েছে এর মধ্যে। যাতে মুসলিমরা হজে চলে যায়, ভোটটা না দিতে পারে। তাই এই প্ল্যান, এত বড় বজ্জাতি বিজেপি পার্টির। ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। তাদের অনেককে আসতেই দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও জেনে রেখো মোদিবাবু কিছু করতে পারবে না। তুমি ভোকাট্টা। একটা করে ফেজ যাবে তুমি একটু করে ধসবে।
তৃতীয় দফার পর চোখে জল : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃতীয় দফার পর চোখের জল পড়তে শুরু করেছে বিজেপির। চতুর্থ দফা আসছে। দেখে নাও মানুষ কী বলছে। বাংলা তো ভোলো, তোমার দিল্লির কী হবে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব কী হবে! দক্ষিণ ভারতে রসগোল্লা পাবে। উত্তর-পূর্বেও একটাও পাবে না। এবার বিজেপি পগার পার।