প্রতিবেদন: লোকসভার তৃতীয় দফার ভোটপর্ব চলাকালীন বিরাট ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। বিজেপি রাজ্য হরিয়ানায় (Haryana Government) সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল সাইনি সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের তিন নির্দল বিধায়ক বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলেন। এই ঘটনা বিজেপির শেষের শুরু বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচনের মাঝপথে হরিয়ানার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় প্রবল চাপে মোদির দল। এবারের নির্বাচনে যে দেশে মোদি হাওয়া বলে কিছু অবশিষ্ট নেই তা ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যে পালাবদলের সম্ভাবনায় স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রত্যাশিতভাবেই এতে উজ্জীবিত গোটা বিরোধী শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী নেতারা বলছেন, মোদি সরকারের স্বৈরাচারের জবাব এবারের লোকসভা ভোটে এভাবেই দেবে দেশের আমজনতা। একদিকে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি এবং অন্যদিকে কৃষকদের স্বার্থরক্ষার ইস্যুতে হরিয়ানায় (Haryana Government) কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিজেপি। তিন বিধায়কের সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে তাই হরিয়ানা হাতছাড়া হল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের। হরিয়ানা বিধানসভার তিন নির্দল বিধায়ক সোমবীর সাঙ্গোয়ান, রণধীর সিং গোল্লেন ও ধরমপাল গোন্দ মঙ্গলবার বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিলেন। বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত। একাধিক ইস্যুতে মতবিরোধ হওয়ার পাশাপাশি কৃষক ইস্যুতেও বিরোধের কারণে সমর্থন তুলে নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
হরিয়ানার ৯০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক ৪০ জন। তিন নির্দল বিধায়ক সমর্থন তুলে নেওয়ায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে কংগ্রেস। এর আগে জেজেপি বিধায়করা নবাব সিং সাইনি সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিলেন। এবার তিন বিধায়ক সমর্থন তুলে নেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল হরিয়ানার বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন- উন্নয়নের কথা পিছনের সারিতে, এখন কেবল ধর্ম আর ধর্ম