আবারও ঝাড়গ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ বিকেলেই ঝাড়গ্রাম পৌঁছেছেন তিনি। আগামী কাল বুধবার আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। আগামী কাল দুপুরে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে হবে অনুষ্ঠান। সেখানেই আদিবাসী-সহ জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য কী বার্তা দেন, তা জানতে উৎসাহী সকলে। আজ বিকেলে ঝাড়গ্রামে পৌঁছনোর পরই রামকৃষ্ণ সারদা পীঠ (কন্যা গুরুকুল)-এর মেয়েরা তাঁকে স্বাগত জানান গানের মধ্য দিয়ে। এরপর ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে জেলার জঙ্গলকন্যা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা-সহ জেলার নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে লিখেছেন, শিক্ষাক্ষেত্র, নারিদের ক্ষমতায়ন ও জঙ্গলমহলের মানুষদের সার্বিক উন্নয়নের দাবি-সব কিছুই গুরুত্ব সহকারে শুনেছি এবং আগামী দিনে তাদের যেকোনও সমস্যা সমাধানেরও পূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এভাবেই আমরা আমাদের প্রিয় বাংলাকে শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে নিয়ে যাব। মণিপুর নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। সংসদের বাইরে ও ভিতরে বিজেপি সরকারের কার্যত টুঁটি টিপে ধরেছে ইন্ডিয়া জোট। আগামী কাল নিজের বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী জনজাতির উদ্দেশে একতা ও অখণ্ডতার বার্তা দেবেন। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের আদিবাসী ও কুর্মি সমাজের মাথারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি সরকারে আসার প্রথম দিন থেকেই জঙ্গলমহলের উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলির জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। সুখা জঙ্গলমহলের জন্য পানীয় জল-সহ সেচের জলের বন্দোবস্ত করেছেন। জঙ্গলমহলের বেশ কিছু এলাকায় এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট না পেলেও উন্নয়ন থেমে থাকেনি। সবাইকে সমান অগ্রাধিকার দিয়ে দলমতনির্বিশেষে আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠীর জন্য প্রভূত উন্নয়নের কাজ করেছেন। বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান-সহ তাঁদের পড়াশোনা ও অন্যান্য প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন। আগামী কালও আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি, জলপাইগুড়ি, মালদা, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার ও পুরুলিয়ার জন্য কয়েকশো কোটি টাকার উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এ-ছাড়াও অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা তুলে দেবেন।
আরও পড়ুন: শহরে ভারী পণ্যবাহী যান চলাচল নিয়ে নয়া নির্দেশিকা কলকাতার নগরপালের
দীর্ঘদিন বাদে জঙ্গলমহল সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের বোর্ড গঠনের কাজ চলছে। জঙ্গলমহলবাসী দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের। একটা সময় বিজেপি এখানকার মানুষদের ভুল বুঝিয়ে ভোট নিয়েছে। তাঁদের কিছু করা তো দূরে থাক, তাঁদেরই ভাত বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্য সরকারের তরফে অর্থ বরাদ্দ করে মানুষের মুখে ভাত জুগিয়েছে। তাই মানুষ আজ আর কোনও ধর্মান্ধ প্ররোচনা ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিতে রাজি নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলায় একটি ঘটনাও ঘটেনি।