ইদের দিন রেড রোডের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানের পর রিজওয়ানুর রহমানের (Rizwanur Rahman) বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। ইদের শুভেচ্ছা জানাতেই পার্ক সার্কাসে রিজওয়ানুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রিজওয়ানুরের মা-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার প্রথমে রিজওয়ানুরের (Rizwanur Rahman) পার্ক সার্কাসের বাড়ির সামনে বেদিতে মালা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন রিজওয়ানুরের মা ও দাদা রুকবানুর রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে। গতবছরও ইদের দিন তাঁর মা পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানাতে রিজওয়ানুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, ২০২২ সালে ইউরোপে তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৫৭০০ জনের!
যুগ বদলায়, বদলে যায় সময়। কিন্তু সন্তানহারা মায়ের তীব্র যন্ত্রণা বদলায় না। প্রায় ১৬ বছর আগে কলকাতার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছিল এক তরতাজা যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। তখন বাম জমান। দিনটা ছিল ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। পাতিপুকুরে রেললাইনের ধার থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর শুনে, কাঁদতে কাঁদতে ‘ইনসাফ’ চেয়েছিলেন কড়েয়ার রিজওয়ানুর রহমানের মা। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-এর পুলিশের বড় কর্তাদের দিকে আঙুল উঠেছিল। অভিযোগ ছিল চক্রান্তের। সেই সময় বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিজওয়ানুরের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন। এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রিজওয়ানুর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভুলে যাননি তিনি।