প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত পাহাড়। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গিয়েছে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata banerjee)। কেন্দ্র ত্রাণ-আর্থিক সাহায্য পর্যন্ত দেয়নি। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে আঘাত কেন্দ্রের মোদি সরকারের। রাজ্যকে না জানিয়ে পাহাড়ে প্রাক্তন আমলাকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে। কেন্দ্রের তুঘলকি আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata banerjee)।
দেশের প্রাক্তন উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার পঙ্কজকুমার সিংকে একজন মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে এই নিয়োগপত্র পাঠানোর পরেই শনিবার মোদিকে চিঠি লিখেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের তরফে এই পঙ্কজ কুমার সিংকে নিয়োগ করার আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
আরও পড়ুন- কর্মসূত্রে ওমানে গিয়ে প্রতারণার শিকার বাংলার ১১ শ্রমিক! দেশে ফেরাতে তৎপর রাজ্য সরকার
মোদিকে পাঠানো চিঠির ছবি পোস্ট করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,
”ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার চিঠিটি এখানে দেওয়া হল, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্স অঞ্চলের গোর্খাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলির জন্য ভারত সরকার কর্তৃক একতরফাভাবে একজন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের জন্য আমার বিস্ময় এবং মর্মাহততা প্রকাশ করা হয়েছে।”
জিটিএ-র ভূমিকা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ”পশ্চিমবঙ্গ সরকার দৃঢ়ভাবে মনে করে, গোর্খা সম্প্রদায় বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) সংক্রান্ত যে কোনও উদ্যোগ অবশ্যই রাজ্যে পরামর্শ ও পূর্ণ সমর্থনের মাধ্যমে গ্রহণ করা উচিত। যাতে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা অটুট থাকে।”
এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো আঘাত। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ”এই সংবেদনশীল বিষয়ে একতরফা কোনও পদক্ষেপ অঞ্চলের শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে একেবারেই অনুকূল হবে না। সুতরাং, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্বপরামর্শ ও যথাযথ আলোচনার বাইরে গিয়ে যে নিয়োগপত্রটি জারি করা হয়েছে, আমি অনুরোধ করছি তা পুনর্বিবেচনা করে প্রত্যাহার করা হোক। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে প্রকৃত সহমর্মিতা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় স্বার্থে এই পদক্ষেপই প্রত্যাশিত।”