প্রতিবেদন : কাজ করলে পুরস্কার। কাজ না করলে ভেবে দেখতে হবে। মধ্যমগ্রামে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পুরসভার কাজে ঢিলেমি আর নয়। রাস্তা, আলো, জল নিয়ে নানা অভিযোগের কারণে প্রতি পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুর প্রশাসকদের নির্দেশ, টাকা না চেয়ে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করুন। পূর্ত দফতরের কাজের ঢিলেমিরও তিনি কড়া সমালোচনা করেন। পুর এলাকায় কোভিড সচেতনতা বাড়াতে নির্দেশ দেন। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর উত্তর ২৪ পরগণায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক এই প্রথম। বৈঠক থেকে একাধিক নির্দেশ ও সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ল ত্রিপুরার সরকারি কর্মীরা
১। কাউন্সিলররা কেমন কাজ করছে তা খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন পর্যবেক্ষকরা।
২। এলাকার কাজ দ্রুত করতে জেলাশাসকের অধীনে ১০ জনকে নিয়োগ করা হবে।
৩। পুর এলাকায় সবচেয়ে আগে জল, আলো আর রাস্তা ঠিক করতে হবে।
৪। জনপ্রতিনিধিদের এলাকার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের নির্দেশ।
৫। চাকলা কচুয়াধামের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। সরেজমিনে দেখতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী।
৬। রাজ্যে ১ জানুয়ারি ছাত্র দিবস পালন করা হবে। ১০হাজার পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।
৭। জানুয়ারি মাসের ১ থেকে ১০ ও ২০ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ফের শুরু হবে দুয়ারে সরকার।
৮। চিংড়িঘাটায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে কলকাতা ও বিধাননগরের সিপিকে বসে দুর্ঘটনা ঠেকাতে সবরকমের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
৯। বসিরহাটের অধিকাংশ হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠলে মুখ্যমন্ত্রী ফের কড়া ভাষায় জানান, যারা নেবে না, তাদের সঙ্গে কথা বলুন। না শুনলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
১০। ২০২৪-এর মধ্যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে।
১১। আগামিদিনে আলাদা জেলা হবে সুন্দরবন।