সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে এদিন অনেকগুলি বিষয় নিয়েও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া বার্তা দিলেন বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়েও।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে যেন কোনওরকম দুর্নীতি না হয়। প্রকৃত মানুষই যেন এই প্রকল্পের সুবিধা পান। যাদের চারতলা বাড়ি আছে তারা যেন এই প্রকল্পে বাড়ি না পায়। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সদ্য দায়িত্ব নেওয়া পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় ও দফতরের আধিকারিকদের এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : উত্তর হাওড়ার বিধায়ককে ভর্ৎসনা করে নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
তখনই পঞ্চায়েত দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীকে জানান এই প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে ৫১ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৪ লক্ষ বাড়ি তৈরি হবে। এই কথা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই কাজ আগে শেষ করতে হবে। তারপর পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। আগে ওই পর্যায়ের ৫৪ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে মানুষকে দেওয়া হোক। তারপর নতুন নাম নেওয়া হবে। এই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে যেন কোনওরকম দুর্নীতি না হয় সেই ব্যাপারে সবসময় কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যাঁদের বাড়ি নেই তাঁরাই যেন এই প্রকল্পে বাড়ি পান। অন্য কেউ যেন না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কেউ যেন কোনও টাকা না নিতে পারে সেটা দেখতে হবে। সরাসরি এই বাড়ি তৈরির কাজ করার জন্য পঞ্চায়েত দফতরের কর্তাদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে পুলক রায়কে বলেন, তুমি এই দফতরের নতুন দারিত্ব নিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মতো আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের তুমি দায়িত্বে আছ। তার সঙ্গে দলের সাংগঠনিক কাজও তোমায় দেখাশোনা করতে হবে। তাই এই প্রকল্পের কাজের ব্যাপারে সবসময় নজর রাখবে। দফতরের আধিকারিক ও জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলে সবসময় এই প্রকল্পের সর্বশেষ পরিস্থিতির খোঁজ নেবে। প্রকৃত ব্যক্তিই যেন এই প্রকল্পের সুবিধা পান সেটা সবসময় মনে রাখতে হবে।