প্রতিবেদন : নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) আনুষ্ঠানিকভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এই প্রকল্প নিয়ে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে বাংলার মডেল। বাংলার প্রকল্প নকল করছে অন্য রাজ্য’।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার সরকার মানবিক সরকার। দুয়ারে রেশন আমাদের গর্ব। এই মডেল একদিন নোবেল প্রাইজ পাবে”। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারে ‘দুয়ারে রেশন’ (Duware Ration) প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিপুল ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় ফিরে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি পালনের পদক্ষেপ করছেন তিনি।
আরও পড়ুন : কুণাল ঘোষের নতুন উপন্যাস প্রকাশ করলেন ব্রাত্য বসু
পুজোর আগে জেলায় জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গিয়েছিল ‘দুয়ারে রেশন’। এবার সেই প্রকল্পটিই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল রাজ্যে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একগোছা ধান তুলে দেওয়া হয়। মাথায় ঠেকিয়ে সেই ধানের গুচ্ছ মঞ্চেই বেঁধে রাখেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা প্রকল্প অন্যান্য রাজ্য এখন নকল করছে। সারা দেশে বাংলার প্রকল্পগুলি মডেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা দুয়ারে রেশন প্রকল্প একদিন নোবেল পুরস্কার পাবে। মমতা বলেন, “অন্নদাতাদের জন্য অনেক কাজ করেছি”। রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, দুয়ারে সরকার- সব প্রকল্পের কথা এদিন বক্তব্য মনে করান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রথীন ঘোষ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
এদিন, প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি, ‘খাদ্যসাথী-আমার রেশন মোবাইল’ অ্যাপ ও হোয়ায়ট অ্যাপ নম্বরও চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। রেশন কার্ড সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি রেশনের বিলি করা সামগ্রীর মান বা এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে জানাতে পারবেন গ্রাহকরা।