ভেজাল ওষুধ কোনও ভাবেই যেন রাজ্যে ব্যবহার না হয়। বুধবার, উত্তরকন্যার প্রশাসনিক সভায় এই বিষয়ে সতর্ক করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিভিন্ন সংস্থার নামে ৫০-৫৫টি ভেজাল ওষুধের তালিকা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার প্রকাশ করেছে। সেই সেই ওষুধ যাতে সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার বা ওষুধের দোকানে বিক্রি না-হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সর্তক করেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলার প্রশাসনকে নিয়ে হওয়া বৈঠকে জেলা ও ব্লক স্তরের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন, “গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ভেজাল ওষুধ এসেছে। সেগুলি যাতে ব্যবহার না-হয়, তা দেখতে হবে। আমরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তিন-চার দিন আগে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। সিএমওএইচ, বিএমওএইচদের বলব, হাসপাতালগুলির স্টোরে সেই সব ওষুধ রয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। দরকারে হঠাৎ হানা দিতে হবে।“ কোন সংস্থার কোন নামের ওষুধ ভেজালের তালিকায়, সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে ওষুধের দোকানের সামনে তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “সম্প্রতি যে ৫০-৫৫টা ভেজাল ওষুধ এসছে গুজরাট থেকে। সেই কোম্পানিগুলোর নাম দিয়ে ওষুধের নাম দিয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সে কাগজে ফটোকপি করে সবার কাছে রেখে দিন। ফোনে রেখে দিন। দেখে নেবেন সেই ওষুধ আপনি কিনছেন কি না।“
এদিন বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ভেজাল ওষুধের নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে প্রশাসনকেই ভূমিকা নিতে হবে। বলেন, “সিএমওএইচদের বলছি অনেক ওষুধ ব্যান্ড করা হয়েছে। সেগুলো হসপিটালে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না চেক করছেন? হাসপাতালে অনেক ওষুধ জমা থাকে সেগুলো চেক করতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে যে ভেজাল ওষুধ এসেছে আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে সে ওষুধগুলোর নাম বলেছি। প্রত্যেকটা ওষুধের দোকানে সে ওষুধের নামের তালিকা টাঙাতে হবে। সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের জন্য এই সমস্ত ওষুধ ব্যবহার না করে।“
‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প নিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনকে দ্রুত কাজ করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জনস্বাস্থ্য কারিগরি (PHE) দফতরের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৫৯২টি প্রকল্প সময়ে শেষ করা যায়নি। তার অধিকাংশই পিএইচই-র। মাঠে-ময়দানে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে কাজটা করতে হবে। ফেলে রাখা যাবে না।“ মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বহু জায়গায় মাটি পরীক্ষা না-করেই পাইপ ফেলে দেওয়া হয়। ফলে কাজ থমকে যায়। তাঁর কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট রয়েছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “পাইপ ফেললে জল পৌঁছোতেই হবে।“ জল মিশনের টাকা নিয়ে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “আমরা জমি কিনে দিই, পাইপ আমরা দিই, পরিচর্যার খরচ আমাদের। ফলে ৯০ শতাংশ টাকা রাজ্যের যায়।“