সংবাদদাতা, আসানসোল : কয়লাখাদান শ্রমিক কংগ্রেসের ডাকে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমবিরোধী নীতি ও কোল ইন্ডিয়ার বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে ঝাঝরা কোলিয়ারিতে হল বিশাল এক প্রতিবাদ সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন আসানসোল ও বীরভূমের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ও শতাব্দী রায়, আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মন্ত্রী মলয় ঘটক, বিধায়ক অভিজিৎ ঘটক-সহ অন্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-ধ্বংসস্তূপের নিচে শুধুই লাশ, মরক্কোয় ভূমিকম্প, হত ১১০০
আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বেসরকারীকরণের যে পথ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার তা এক ভয়ানক পথ। মায়ের অলঙ্কারের মতোই গুরুত্বপুর্ণ দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। কিন্তু বিজেপি সরকার যেভাবে বিক্রি করার পথে যাচ্ছে তাতে দেশের সামনে ভয়ঙ্কর বিপদ ঘনিয়ে আসছে। বিজেপি সরকার দেশটাকেই বিক্রি করে দিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হল এবং এই লড়াই দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর বিরুদ্ধে লড়াই শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন-কনকনে ঠান্ডায় কী করছে প্রজ্ঞান? নজর রাখছে ইসরো
রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, বেসরকারি অবস্থায় থাকাকালীন কয়লা খাদানের শ্রমিকদের উপরে অত্যাচার করত কেন্দ্র। পরে কয়লাখনির জাতীয়করণ হওয়ার পরেই শ্রমিক স্বার্থের উন্নতি হয়। এখন আবার পাঁচটা সরকারি কয়লাখনি বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। একবার যদি শ্রমিকেরা মেনে নেন তবে একের পর এক কয়লাখনি বিক্রি করে দেবে কেন্দ্র। শেষ হয়ে যাবেন কয়লা শ্রমিকেরা। সব অধিকার হারাবেন তাঁরা। আবার ফিরে আসবে অতীতের সেই কালো দিনগুলো।’
আরও পড়ুন-ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে সুনকের বার্তা খালিস্তানিদের
সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘জি-২০ ভারতে করার একমাত্র কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচার চান। এতে ভারতের কত লাভ হবে সেটা তাঁর বিবেচ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচার কতটা করতে পারবেন তা নিয়েই ব্যস্ত।’ সাংসদ বলেন, ‘বিরোধী শক্তিকে ডাকা হয়নি এটা নতুন নয়, আসলে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের সময় তিনি দেশের রাষ্ট্রপতিকেও ডাকেননি। আসলে প্রধানমন্ত্রী যেটা চাইবেন সেটাই করবেন এটাই ওঁর মানসিকতা।’ আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বাংলা। জি-২০ আসলে নাটক হচ্ছে। রাশিয়া আসেনি, চিন বয়কট করেছে। এসেছে শুধু আমেরিকা। দেখুন কী হয়। আগলিবার জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া।’