গত পূর্ণিমার কোটালে নদী এবং সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে গিয়ে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) উপকূল এবং মৌসুনি দ্বীপে ভাল পরিমাণ ভাঙন শুরু হয়েছিল। আসন্ন নিম্নচাপের ফলে নদী এবং সমুদ্রের জলস্তর অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদী এবং সমুদ্র উত্তাল হওয়া শুরু হতেই পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নজরদারি শুরু হয়েছে। নিম্নচাপটি আপাতত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর রয়েছে তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার গতিপথ বদলাতে পারে বলে হাওয়া দফতর সূত্রে খবর। বাংলার উপর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরে যেতে পারে। এরপর এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ঝাড়খণ্ড ও উত্তর ওডিশার অভিমুখে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আরও পড়ুন-বাসের ধাক্কায় রেডরোডে গুরুতর আহত পুলিশ অফিসার
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলাতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। উপকূলবর্তী সব জেলা মেঘলা থাকবে। আগামী সাত দিন দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আগামী দু’দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আগেই রয়েছে। ট্রলারগুলি বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করা রয়েছে। ছোট ভুটভুটি নিয়ে যাঁরা সুন্দরবনের নদী এবং খাঁড়িতে মাছ ধরেন তাদের সতর্ক করা হয়েছে। বিপদ এড়াতে জলপথে সুন্দরবন পুলিশ মাইকে সতর্ক করছে। গঙ্গাসাগর, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ পর্যটনকেন্দ্রে পুলিশ মাইকে প্রচার করে পর্যটকদের সাবধান করছে।
আরও পড়ুন-দিল্লির কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল, ডুবে মৃত ৩ পড়ুয়া
ইলিশ ধরার ক্ষেত্রেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। পর পর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে গভীর সমুদ্রে ইলিশের দেখা নেই। রুপোলি শস্যের আশায় বার বার ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আর্থিক লোকসানের মুখে ট্রলার মালিকরা। পর্যাপ্ত ইলিশ না পেয়ে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সামনেই ইলিশ উৎসব। তাই ব্যবসায়ীদের জন্যও পরিস্থিতি বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।