নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : কনকনে ঠান্ডা আর লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে নাজেহাল অবস্থা রাজধানীবাসীর। যদিও সপ্তাহকালীন লকডাউনের কারণে অফিস, দোকান-বাজার বন্ধ থাকায় পরপর দু’দিন দিল্লির আবহাওয়ার গুণগত মান সন্তোষজনক স্তরে রয়েছে। রবিবার রাজধানীর আবহাওয়ার গুণগত মান ছিল (একিউআই) ৯০, অর্থাৎ সন্তোষজনক। আবহাওয়া দফতরের খবর, অসময়ে হওয়া টানা তিনদিন লাগাতার বৃষ্টির ফলে ২২ বছর পর জানুয়ারিতে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, প্রায় দুই মাস পর লাগাতার দু’দিন রাজধানীতে সেরা বাতাসের গুণমান রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হতে পারেন আয়েশা মালিক
রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে আট ডিগ্রি বেশি। রেকর্ড বৃষ্টির কারণে রাজধানীর নিচু এলাকা যেমন নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি, পুল প্রহ্লাদপুর, রিং রোড এবং মান্দাওয়ালি প্লাবিত হয়েছে। এর আগে জানুয়ারি মাসে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল ১৯৯৯ সালে।
এদিকে পুরো উত্তর ভারত জুড়ে আবহাওয়ার এই পট পরিবর্তনের মধ্যেই দিল্লি মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী চার-পাঁচদিন প্রবল ঠান্ডায় কাঁপবে পুরো উত্তর ভারত। বেশ কিছু জায়গায় চলবে শৈত্যপ্রবাহও। রাজস্থানের বেশ কিছু জায়গায় জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, সোমবারও জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, শ্রীনগর সহ আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। সোমবার পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় তুষারপাতও হবে। উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে পতন দেখা দেবে রাজধানীর তাপমাত্রায়। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তর রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়েও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রয়েছে।
আরও পড়ুন-সংক্রমণ লাগামছাড়া, বিশ্বজুড়ে এখনও অসচেতন বহু মানুষ
অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীর, গুলমার্গ সহ আশপাশের এলাকায় জারি রয়েছে লাগাতার তুষারপাত। এই সময় কাশ্মীরে টানা ৪০ দিন ধরে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ চলে। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পতন হয়। এর ফলে জলাশয় সহ জল সরবরাহের লাইনগুলিতে বরফ জমে যায়। সাধারণত ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে জানুয়ারির ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভূ-স্বর্গে চলে এই শৈত্যপ্রবাহ। স্থানীয় ভাষায় একে বলে ‘চিল্লা-ই-কালান’। ভূস্বর্গে এখন ‘চিল্লা-ই-কালান’ চলছে পুরোদমে।