প্রতিবেদন : আগে নথি চেয়ে পাঠান। তাতে সন্তুষ্ট না হলে তবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকবেন। তার আগে নয়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ইডি তথা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর যুক্তি ছিল, তদন্ত নিয়ে ইডিকে যে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা তা সরাসরি তাঁর স্বার্থকে প্রভাবিত করেছে। যে মামলায় তাঁকে যুক্ত করা হয়েছে সেই মামলায় তিনি কোনওভাবেই যুক্ত না।
আরও পড়ুন-রাষ্ট্রের দমননীতি : প্রধান বিচারপতিকে চিঠি
পাশাপাশি ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির তলব প্রসঙ্গে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে অভিষেক বলেন, ইডি বিজেপি বিরোধী রাজ্যের রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর খড়্গহস্ত। টার্গেট বিরোধীরা। কখনও শুনেছেন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসম কিংবা মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতাদের তদন্তকারী এজেন্সি ডেকেছে? বিজেপির অস্ত্র এখন এজেন্সি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, বিজেপি নেতারা এখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে ভয় পান। খুনিরা মালা পায়। আর সাংবাদিকরা ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার হয়। এটাই নাকি প্রধানমন্ত্রীর নিউ ইন্ডিয়া! আর ইডির বিশ্বাযোগ্যতা? অভিষেক বলেন, আমি ইডিকে নানা ই-মেল পাঠাচ্ছি। সেই চিঠি নিয়ে ট্যুইট করছে গদ্দার অধিকারী। এই তো হচ্ছে ইডির নিরপেক্ষতা। বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি বলেন, তদন্তকারী সংস্থা যে সমস্ত তথ্য চেয়েছে তা দ্রুত দিয়ে দিন। হাতে পাওয়ার পর সেগুলি দেখে যদি সন্তুষ্ট না হন তখন নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। আজ, বৃহস্পতিবার ফের মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।