বিজেপি রাজ্যগুলিতে নারী নিরাপত্তা যে শিকেয় তার প্রমাণ বারবার মিলেছে। সদ্য ওড়িশার ক্ষমতা দখলের পরে সেখানে একের পর এক ধর্ষণ ও গণধর্ষণের (College Student Gang-Rape) ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। একদিকে নিরপত্তা দিতে কতটা ব্যর্থ মোহন মাঝি প্রশাসন, সেই সঙ্গে আইনের ভয়ও যে দুষ্কৃতীদের নেই ওড়িশায় তা আরও একবার প্রমাণিত অত্যন্ত জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত গোপালপুরের গণধর্ষণের ঘটনায়। কলেজ পড়ুয়ার গণধর্ষণের ঘটনায় চাপের মুখে ১০ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ওড়িশা পুলিশ। তবে আদৌ আইনি পথে যথোপযুক্ত শাস্তির মাধ্যমে এই ধরনের ঘটনা রুখতে ওড়িশার বিজেপি সরকার কতটা সক্ষম হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ওড়িশার গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্র সৈকত স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বাঙালিদের কাছেও অত্যন্ত পছন্দের। রবিবার এক কলেজ পড়ুয়া নিজের প্রেমিকের সঙ্গে রাজা উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য গোপালপুরে গিয়েছিলেন। সেই সময় একদল যুবক লুকিয়ে তাদের ছবি তোলে। সেই ছবি দেখিয়ে প্রথমে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। পরে যুবতীর সঙ্গের যুবককে বেঁধে রেখে যুবতীকে নিয়ে যায় কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে।
আরও পড়ুন- BSF-এর দ্বারা বাংলাদেশে অবৈধভাবে পুশব্যাক, আরও ২ পরিযায়ী শ্রমিককে ফেরাল রাজ্য
এরপরের ঘটনায় সাম্প্রতিককালের মধ্যে মর্মান্তিক ঘটনাগুলিকেও ছাপিয়ে যাবে। প্রেমিককে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে একের পর এক ১০ জনে ধর্ষণ করে যুবতীকে (College Student Gang-Rape)। সেই ভয়ে গোটা সময়ে চিৎকার পর্যন্ত করতে পারেনি যুবতী। রাত ১১টা নাগাদ স্থানীয় থানায় তারা দুজনে অভিযোগ দায়ের করতে যায়। দুষ্কৃতীরা এতটাই আতঙ্ক তৈরি করে যুবতীর মধ্যে যে সে প্রথমে অভিযোগ দায়ের করতেও ভয় পায়। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের সহযোগিতায় অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে সাতজনকে গ্রেফতার করে গঞ্জাম পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনায় আরও যারা যুক্ত তাদের অনুসন্ধান চালানো হয়। শেষমেশ হিনজিলিকাট এলাকার বাসিন্দা ১০ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই সাবালক এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে তাদের, জানায় ওড়িশা পুলিশ। যদিও তাতে আদৌ এই ধরনের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।