প্রতিবেদন : কী বলা যায় একে, দ্বিচারিতা? কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন অনলাইন ক্লাস হওয়ায় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবি ছিল, অবিলম্বে খুলতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা, চালু করতে হবে ক্লাস। অথচ এখন ঠিক উল্টো কথা কিছু ছাত্রছাত্রীর মুখে। তাঁদের দাবি, অফলাইন পরীক্ষা নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনেই। একশ্রেণির পরীক্ষার্থীর এই ভোলবদলে বিস্মিত ছাত্রমহল।
আরও পড়ুন-বিজেপিতে আফটার শক
নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা শিক্ষামহলেই। সকলেরই বক্তব্য, কোভিডত্রাসে অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষাব্যবস্থা। পড়ুয়াদের স্বার্থেই তা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ক্লাস হচ্ছে, সেমিনার হচ্ছে, চলছে নানা অনুষ্ঠানও। তা হলে অফলাইন পরীক্ষায় আপত্তির যৌক্তিকতা কোথায়? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি সম্প্রতি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে সেমেস্টার পরীক্ষা অফলাইনে নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এরপরেই গত শুক্রবার শ’খানেক পড়ুয়া কলেজ স্ট্রিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। ঘণ্টাদুয়েকের বিক্ষোভে তাঁদের দাবি, পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনেই। বিক্ষোভ চলে সোমবারও।
আরও পড়ুন-শিয়ালদহ-ফুলবাগান মেট্রো মঙ্গলবার
মঙ্গলবারও হাতেগোনা কিছু পড়ুয়া কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল করে এসে জমায়েত করেন ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে। লক্ষণীয়, কয়েকদিন আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু ছাত্রছাত্রী অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিশৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষার প্রস্তুতি যদি যথাযথ থাকে পরীক্ষার্থীদের, তা হলে অফলাইনে আপত্তির কারণটা কী? কোনও বিশেষ সুযোগের আশাতেই কি অনলাইন পরীক্ষার এই দাবি?