প্রতিবেদন : চোটের কারণে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি গ্রেগ স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি পেত্রাতোস, আশিক কুরুনিয়নের মতো তিন তারকা। তবুও বৃহস্পতিবার দশজনের পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলে জিতে দিল্লি থেকে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে মোহনবাগান। জোড়া গোলে নায়ক আলবার্তো রডরিগেজ। তবে ম্যাচে রেফারি রাহুল গুপ্তর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। গত ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল জোসে মোলিনার দলকে। এদিনও শুরুতে গোল হজম করায় চিন্তা বেড়েছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল দিয়ে জিতলেও রক্ষণ নিয়ে উদ্বেগ কমল না সবুজ-মেরুনের। ১৩ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল মোহনবাগান।
আরও পড়ুন-শ্যামবাবু
হোম ম্যাচে শুরু থেকে মোহনবাগান রক্ষণকে চাপে রেখেছিল পাঞ্জাব। ৩ মিনিটের মাথায় নিখিল প্রভুর শট গোলকিপার বিশাল কাইথকে পরাস্ত করে ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। পাল্টা প্রতিআক্রমণে লিস্টনের উদ্দেশ্যহীন ক্রস নষ্ট হয়। ১২ মিনিটে সেই রক্ষণের ভুলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। পাঞ্জাবের রিকি শাবং বাঁ-দিক থেকে আশিস রাইকে মাটি ধরিয়ে বক্সে ঢুকে অনায়াসেই বাগান ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে নিচু শটে গোল করেন। টম অলড্রেডরা সামনে থেকেও পাঞ্জাব ফুটবলারকে চ্যালেঞ্জ করেননি। এরপর প্রথমার্ধে দু’দলই মরিয়া চেষ্টা করলেও আর গোল হয়নি। মোহনবাগান পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।
বিরতির পর ম্যাচের গতিপথ বদলে যায়। ৪৮ মিনিটে আলবার্তো রডরিগেজের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। কামিন্সের কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান বাগানের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ম্যাচ ১-১ হওয়ার পরই ৫১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন পাঞ্জাবের বিদেশি মিডফিল্ডার পুলগা ভিদাল। কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ম্যাচের বাকি সময় দশজনে খেলে পাঞ্জাব। সুযোগটা কাজে লাগায় মোহনবাগান। ৬৪ মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। আশিস আগেই বক্সে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পাঞ্জাব ফুটবলারের সংস্পর্শেই সেভাবে আসেননি মোহনবাগানের সাইড ব্যাক। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দিলে তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি ম্যাকলারেন। ৬৯ মিনিটে তৃতীয় গোল করে মোহনবাগান। আবারও গোল আলবার্তোর। এবার অনিরুদ্ধ থাপার সেন্টারে হেড করেই বল জালে জড়ান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।