শহিদদের স্মৃতিতর্পণ ও শপথের বাস্তবায়ন

একুশে জুলাই আমরা ৩৩ তম শহিদ স্মৃতিতর্পণ দিবস পালন করব।

Must read

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
একুশে জুলাই আমরা ৩৩ তম শহিদ স্মৃতিতর্পণ দিবস পালন করব। আজ থেকে ৩২ বছর আগে কলকাতার কালো পিচ রাস্তা যুব কংগ্রেস কর্মীদের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। নিহত হয়েছিল ১৩ জন তরতাজা যুবক এবং ২০৬ জন কর্মী আহত হয়েছিলেন।
১৯৯৩ সালে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘No identity card no vote’ এই দাবিকে সামনে রেখে রাইটার্স বিল্ডিং অভিমুখে যে রাস্তাগুলি ছিল সেইখানে শান্তিপূর্ণ জমায়েতের ডাক দেন। ব্রাবোর্ন রোড, লালবাজার, ধর্মতলা, এসপ্ল্যানেড ইস্ট ও মেয়ো রোডে জমায়েতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কারণ ১৯৭৭ সালের পর থেকে পশ্চিমবাংলায় যত নির্বাচন হয়েছে সব নির্বাচনে গুন্ডামি, ছাপ্পা ভোট ও বুথ দখল করে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি জয়ী হয়েছে। তখন ব্যালটে ছাপ্পা দিয়ে ভোট হত, ফলে ভোট একটা প্রহসনে পরিণত হয়েছিল।
তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব পালন করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য ধাতুতে গড়া। ওঁকে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ চিনেছিল ওঁর কর্মক্ষমতা এবং আন্দোলন গড়ে তোলার মানসিকতা দেখে।
প্রতিটি জায়গায় যত বেলা বেড়েছে ততই কর্মী সংখ্যা বেড়েছে। আগের দিন মমতা লালবাজারে যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে বলেছিলেন, আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্তই নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেকোনও মূল্যে দমিয়ে দিতে হবে কারণ তারা জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কোনও নেতাই আন্দোলন করবে না। বিনা প্ররোচনায় মেয়ো রোডের মোড়ে শুরু হয় লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এবং তারপর বেপরোয়া গুলি চালানো। ব্রাবোর্ন রোডে আমাদের মঞ্চ ভেঙে দেয় পুলিশ। মমতা প্রতিবাদ করলে নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করে। মমতা অচেতন হয়ে পড়েন। সবাই ধরে একটা গাড়িতে তোলে এবং হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়ো রোডের মোড়ে আমার সামনে কয়েকজনকে গুলি খেয়ে ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছি। দেখেছি ‘জল জল’ বলে চিৎকার করতে করতে স্তব্ধ হয়ে যেতে। ধর্মতলাতেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে যুব কংগ্রেস কর্মীদের খুন ও আহত করেছিল৷
আজ তারপর ৩২টা বছর কেটে গেছে, কিন্তু ২০১১ সালের আগে এক চরম স্বৈরাচারী বর্বর মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির চরম অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল পশ্চিমবাংলার মানুষকে।
আমরা অনেক পথ পরিক্রমা করেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। অনেক সহকর্মী বন্ধু ও সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি যারা স্বৈরাচার, অন্যায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস ও অত্যাচারে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সাংবিধানিক অধিকার।
দার্জিলিং থেকে বঙ্গোপসাগর এবং পুরুলিয়া থেকে বনগাঁ, সর্বত্রই একই ছবি। হয় মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির বশ্যতা স্বীকার করে নিঃশর্তভাবে সমর্থন করতে হবে নচেৎ প্রাণ যাবে, মান যাবে, বাস্তুচ্যুত হতে হবে, জমি যাবে এবং জমির শস্য লুট হয়ে যাবে এবং পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে দেওয়া হবে।
বিরোধিতা করলে বাড়ির মহিলাদের সাদা থান দিয়ে আসত এবং বলে দিত পুরুষদের খুন করা হবে।
২১ জুলাই ১৯৯৩ সালের বামফ্রন্ট সরকারের নির্মম হত্যালীলা স্বাধীনতা-উত্তর ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে বিরলতম ঘটনা।
১৯৯০ সালের মমতাকে হাজরা মোড়ে হত্যার চক্রান্ত করে লোহার রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির হার্মাদ। সারা মাথায় সেলাই করতে হয়েছিল। গণদেবতার আশীর্বাদ ও ঈশ্বরের আশীর্বাদে মমতা প্রাণে বেঁচে যান। ১৯৯৩ সালেও মমতার আঘাত ছিল অত্যন্ত গুরুতর। অনেকদিন হাসপাতালে চিকিৎসা করলেও মাথায় যেভাবে চুল কাটতে হয়েছিল সেটা বর্ণনা করাও কষ্টকর। বহুদিন কালো কাপড় বেঁধে রাখতে হত।

আরও পড়ুন-অনেকেই ভুলে যান, কিন্তু ভোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকবার হত্যার চেষ্টা করলেও সারা বাংলায় যেখানে অত্যাচার হয়েছে মমতা পৌঁছে গিয়েছেন এবং গণ আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।
একটা সময় বাংলার মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল পশ্চিমবাংলায় হয়তো কোনওদিন সরকারের পরিবর্তন হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপসহীন সংগ্রাম, জীবনকে বাজি রেখে মানুষের জন্য লড়াই দেখে আস্তে আস্তে মানুষের মনে আস্থা ও বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করে। রাজনৈতিক জীবনে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। জীবনে অনেক কিছু ত্যাগ করা, যে কাজে নিয়োজিত সেই কাজকে মন থেকে উপলব্ধি করা, ব্যক্তিগত জীবনে সত্যতা, নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষের মনে ধীরে ধীরে স্থান করে দিয়েছিল। মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি ও বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির বর্বর অমানবিক ও পাশবিক অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পশ্চিমবাংলার মানুষ আন্তরিকভাবে শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন চাইতে শুরু করে। মমতার অল্প বয়স থেকেই মানুষের মনকে বোঝার ক্ষমতার অপরিসীম। খুব অল্প বয়স থেকে রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ। ১৯৭০ সালে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কংগ্রেস (আই)-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সারা বাংলায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অবাধে বিচরণ করেছেন। ১৯৮৪ ও ১৯৯১ সালে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত ভারতবর্ষের মন্ত্রিসভায় মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও ক্রীড়া, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন। এছাড়াও ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪ ও ২০০৯ এই মোট সাতবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৮ সালে ১ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন। ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হয়ে ২০০১ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ছিলেন। ২০০৪ সালে কয়লা ও খনি দফতরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই তাঁকে জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সাহায্য করেছে। আবার বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে নানা প্রকল্প ঘোষণা করেছেন যা জনমনে প্রভাব ফেলেছে। কংগ্রেস করাকালীন আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বারবার দিল্লির নেত্রীকে বোঝাবার চেষ্টা করেছি যে পশ্চিমবঙ্গে মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের অত্যাচার, স্বৈরাচার এবং দুর্নীতি মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে কিন্তু কেন্দ্রে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কংগ্রেস মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যখনই কলকাতায় এসেছে তখনই তারা রাইটার্স বিল্ডিংয়ে গিয়ে বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছে যার ফলে মমতা-সহ সকল কর্মীদের মনে কংগ্রেস দল সম্পর্কে তীব্র বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়। একদিকে মমতার নিজের জীবন বিপন্ন করে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট দলের অন্তহীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই, যে লড়াইয়ে অসংখ্য তাজা প্রাণ মায়ের কোল খালি করেছে, অসংখ্য বোনের সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়েছে, কত নির্দোষ মানুষের সম্পত্তি আগুন দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে কিন্তু মমতাকে আন্দোলন থেকে বিরত করতে পারেনি।

আরও পড়ুন-নেত্রীর আন্দোলনের ফসল ভোগ করছেন দেশবাসী

মমতা কংগ্রেস দলে উদাসীনতা, ক্ষমতায় থাকার জন্য একটা স্বৈরাচারী, বর্বর, দুর্নীতিবাজ দলের সঙ্গে সখ্য মেনে নিতে পারেনি। কংগ্রেস মমতাকে বাধ্য করেছিল কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিতে। সর্বভারতীয় দল গঠনে অত্যন্ত তিনজন সাংসদের স্বাক্ষর লাগে আবেদন করার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত পাঁজা ও কৃষ্ণা বসু স্বাক্ষর করে নির্বাচন কমিশনের আবেদন করলেন নতুন দল গঠনের জন্য। সমস্ত কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করার পর নির্বাচন কমিশন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠনে আবেদন মঞ্জুর করে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে দলের নাম ঘোষণা করেন। সভানেত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে অজয় মুখার্জি, প্রফুল্ল সেন, প্রণব মুখার্জির মতো নেতারা চেষ্টা করে দল গঠন করেও সফল হতে পারেনি। ব্যতিক্রম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারণ মমতার সাংগঠনিক ক্ষমতা, নিরবচ্ছিন্ন লড়াই, সহজ-সরল জীবনযাত্রা এবং সৎপথে চলা পশ্চিমবাংলার মানুষের মনে আস্থা-বিশ্বাস তৈরি করে যার প্রকাশ হয়েছে পঞ্চায়েত, সমিতি, জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন পুরসভার নির্বাচনে। নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে গেল। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৪ বছরের বেশি কুশাসনের নজির রেখে পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটে।
২০১১ সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে ১৮৪টি আসন লাভ করে। মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি ৪০টি আসন ও জাতীয় কংগ্রেস ৪২টি আসন পায়। তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে সরকার গঠন করার ক্ষমতা অর্জন করে।
আগেই উল্লেখ করেছি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র নেত্রী যিনি মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের শুধু মনে রেখেছেন তা নয়, তাঁদের পরিবারের কোনও একজনকে চাকরি দিয়েছেন এবং প্রতি বছর তাঁদের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সম্বোধিত করেন।
ভূদেব সেন অথবা নুরুলকে নিয়ে রাজনীতি করেছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি, কিন্তু পার্কসার্কাসে ভূদেব সেনের শহিদ বেদিতে একটা মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়নি। আর নুরুলকে নিয়ে গান বেঁধে প্রচার করেছে কিন্তু তাঁর পরিবারকে কোনও সাহায্য করেনি। মমতা ক্ষমতায় এসে নুরুলের পরিবারকে বাড়ি দিয়েছেন এবং আর্থিক সাহায্য করেছেন। মমতা শপথ নিয়েছিলেন ‘শহিদের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ’ শুধু স্লোগান নয়, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
৩৪ বছরে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে বামফ্রন্ট পশ্চিমবাংলাকে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া রাজ্যে পরিণত করেছিল। দেশে ১৮তম রাজ্যে পরিণত হয়েছিল বাংলা। মমতা পশ্চিমবাংলাকে দেশে এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন।
১| পশ্চিমবাংলা ১৩ বছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ও কর্মস্থানে এক নম্বর।
২| সংখ্যালঘু বৃত্তি প্রদানে এক নম্বর।
৩| স্কিল ডেভেলপমেন্টে এক নম্বর।
৪| ই-টেন্ডারিংয়ে এক নম্বর।
৫| লাগাতার ২০১১ সাল থেকে পাঁচ বছর ১০০ দিনের কাজে, গ্রামের বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এবং গ্রামে রাস্তা তৈরিতে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে এবং প্রথম হয়েছে।
৬| চাল উৎপাদনে দেশে এক নম্বর।
৭| পাট উৎপাদনে দেশে এক নম্বর।
৮| ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রথম।
৯| ভারী শিল্পে প্রথম তিনে পশ্চিমবঙ্গ।
১০| কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সর্বাপেক্ষা কর্মক্ষম রাজ্য।
১১| দেশের স্কুলগুলির মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবাংলার ড্রপ আউট শূন্য।
১২| মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমবাংলা দেশে সর্বোত্তম।
১৩| দেশের সর্বোত্তম তিনটি থানার মধ্যে হুগলির শ্রীরামপুর থানা।
১৪| আলু উৎপাদনে দেশে দ্বিতীয় কিন্তু রাজ্যের আয়তনের নিরিখে পশ্চিমবাংলা প্রথম।
১৫| খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতায় দেশে প্রথম।
১৬| কলকাতা পুলিশের ‘প্রণাম’ ও ‘সুকন্যা’ এবং আবাসন দফতরের ‘চা-সুন্দরী’ স্কচ পুরস্কার পেয়েছে ২০২৫ সালে।
১৭| মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের সামাজিক প্রকল্পগুলি জন্য দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের ‘হাউজহোল্ড কনজামসান এক্সপেন্ডিচার সার্ভে রিপোর্ট’।
১৮| কেন্দ্রীয় সরকারের পশুপালন পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে দেশে প্রথম স্থানে পশ্চিমবাংলা।
১৯| সেন্ট গ্যালন ব্রেস্ট ক্যানসার কনফারেন্স ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পকে বিশ্বসেরার স্বীকৃতি দিয়েছে।
তালিকা দীর্ঘ করতে চাই না কিন্তু একটি বিষয় খুব পরিষ্কার, তা হল, পশ্চিমবাংলার মার্কসবাদী খুনিদের হাতে অসংখ্য কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের রক্তের বন্যা দেখেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়েছিলেন ‘বীরের এ রক্তস্রোত— মাতার এ অশ্রুধারা’কে ব্যর্থ হতে দেব না। পশ্চিমবাংলাকে দেশের সেরা রাজ্যে পরিণত করে প্রতিজ্ঞা পূরণ করব।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবাংলা দেশের অন্যতম সেরা রাজ্য।
২১ জুলাইয়ের শহিদদের স্মৃতিতর্পণের এটাই শ্রেষ্ঠ পথ।

Latest article