দেশের ১৭টি বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক উড়ান স্থগিত

ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত বা সীমান্তের নিকটবর্তী বিমানবন্দরগুলিকে কেন্দ্র করেই এই সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি স্থানে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক হামলার পর দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৭টি বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক উড়ান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ ও আকাশসীমায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত বা সীমান্তের নিকটবর্তী বিমানবন্দরগুলিকে কেন্দ্র করেই এই সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-নিরীহদের হত্যার বদলা : রাজনাথ

উড়ান সংস্থাগুলির জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই বিমানবন্দরগুলিতে ১০ মে সকাল ৫টা ৩০ মিনিট (IST) পর্যন্ত বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম চালু থাকবে। বন্ধের তালিকায় থাকা বিমানবন্দরগুলি হল শ্রীনগর, জম্মু, লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, যোধপুর, বিকানের, গোয়ালিয়র, রাজকোট, ভুজ, জামনগর, ধর্মশালা, ভাতিন্ডা, সিমলা, হিন্দন, কিষানগড় এবং কান্ডলা। দেশের বৃহত্তম বিমানসংস্থা ইন্ডিগো জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে অমৃতসর, বিকানের, চণ্ডীগড়, ধর্মশালা, গোয়ালিয়র, জম্মু, যোধপুর, কিশানগড়, লেহ, রাজকোট এবং শ্রীনগর থেকে ১৬৫টিরও বেশি উড়ান ১০ মে সকাল ৫:২৯ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যাত্রীরা সংস্থার ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে বিমান চলাচলের অবস্থা জেনে তবেই বিমানবন্দরে আসুন। এয়ার ইন্ডিয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় ও রাজকোট—এই নয়টি বিমানবন্দর থেকে তাদের সমস্ত উড়ান ১০ মে সকাল পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীরা টিকিট পুনঃনির্ধারণ বা বাতিল করলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ও স্পাইসজেট তাদের সংশ্লিষ্ট রুটে সমস্ত ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন অ্যালায়েন্স এয়ারও অমৃতসর, ভুজ, ভাতিন্দা, চণ্ডীগড়, ধর্মশালা ও শিমলা রুটে ফ্লাইট বন্ধ করেছে। দেশব্যাপী প্রভাব ও আন্তর্জাতিক রুট পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে উত্তর ভারত জুড়ে ফ্লাইট ট্র্যাকিং পরিষেবায়। দেখা গিয়েছে, দিল্লি, রাজস্থান ও গুজরাটের উত্তরাঞ্চলে অসামরিক বিমান চলাচল কার্যত বন্ধ। সীমান্তঘেঁষা এলাকার সংবেদনশীল বিমানঘাঁটিগুলির আশেপাশে বিমান চলাচল নেই বললেই চলে।
এদিকে ভারতের অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও তার আকাশসীমায় আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে খবর। ফ্লাইটরাডার ২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, হামলার ঠিক পরপরই বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক উড়ান পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, তুর্কি এয়ারলাইন্স, ফিনএয়ার, সৌদিয়া, এয়ার আরবিয়া এবং ইরানের মাহান এয়ার তাদের দীর্ঘপথের উড়ানগুলির রুট পরিবর্তন করেছে।

Latest article