প্রতিবেদন : ফের বাংলাকে বঞ্চনা। তবে এবার বরাতে। বাংলার সংস্থাগুলিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনী সামগ্রীর বরাত দেওয়া হল গুজরাতের সংস্থাকে। যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমুল কংগ্রেস। বুধবার বিধানসভায় জিরো আওয়ারে এ-প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনারের সিইও-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, জনসাধারণের টাকা এভাবে ব্যয় করা যায় না। এটা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন-টেস্ট বিশ্বকাপ হোক চার বছরের : এবি
এদিন ফিরহাদ হাকিম আরও জানান, টেন্ডারে বাংলার একাধিক সংস্থা অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত বরাত দেওয়া হয়েছে গুজরাতের একটি সংস্থাকে। এটা কীভাবে হল, তার জবাব দিতে হবে সিইও দফতরকে। এটা স্বচ্ছতার প্রশ্ন। বাংলার সংস্থাগুলিকে বাদ দিয়ে অন্য রাজ্যের সংস্থাকে সুযোগ দেওয়া নীতিগতভাবে ভুল। মন্ত্রীর সাফ কথা, জনতার করের টাকায় কোনও পক্ষপাতিত্ব চলবে না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কে বা কারা, সেই উত্তর বিধানসভা ও জনতার সামনে আনা উচিত। এ-বিষয়ে তৃণমুল ভবনে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, কালীগঞ্জের নির্বাচনের আগে অদ্ভুতভাবে টেন্ডারের নিয়মকানুন করেছে। বোঝাই যাচ্ছে, যারা টেন্ডার পাবে তাদের হয়তো কিছু সুবিধে হতে পারে। নানারকম ওয়েবক্যাম যেসব ১০০টি গাড়ির মাথায় লাগানো হবে ইত্যাদি সব বলা হয়েছে। আসলে সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টিই যথেষ্ট গণ্ডগোলের।