প্রতিবেদন : দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া’ নিয়ে মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার একতরফা কমিশনার নিয়োগ করছে। সেই নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা হল নতুন করে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে হবে মামলার শুনানি।
গত শনিবার আচমকাই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। নির্বাচন কমিশনের তিনজনের বেঞ্চে এখন শুধু রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
আরও পড়ুন-নির্বাচনী বন্ড থেকে কত ফেরত পিএম তহবিলে, জানাল এসবিআই
গত মাসেই অন্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে অবসর নিয়েছেন অনুপ পাণ্ডে। এই মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনারের দুই পদই। কমিশনের এই শূন্য দুই পদে নিয়োগের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বৈঠকে বসবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্যানেল। সেই প্যানেলে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তাঁর ঠিক করা এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা থাকেন। অতীতে এই প্যানেলে থাকতেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন-রমজানের শুরুতেই গাজার শরণার্থীদের উপর নির্মম হামলা
বিতর্কের সূত্রপাত এখান থেকেই। ডিসেম্বরে কেন্দ্র সরকারের আনা নতুন আইন অনুসারে প্যানেল থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই আইন নিয়ে বিরোধীরা আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা খর্ব করে কেন্দ্রীয় সরকার পছন্দের ব্যক্তিকে কমিশনে বসাবে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে মামলা গ্রহণের বিষয়টি জানায়। কমিশনার নিয়োগের বিরোধিতা করে কংগ্রেসও একটি মামলা করেছে।