আরজিকরের ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস পুলিশ কমিশনারের

Must read

সারারাত ধরে তদন্ত ও প্রমাণ সংগ্রহের পরে গ্রেফতার সঞ্জয় রায় নামে এক যুবক। আরজিকরে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সঞ্জয়কেই সর্বোচ্চস্তরের অপরাধী বলে দাবি করলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেই সঙ্গে সিপির দাবি অপরাধীর পরিচয় সে শুধুই অপরাধী, তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি কীভাবে হয়, সেটা নিশ্চিত করবে কলকাতা পুলিশের সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল, জানালেন বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal)।

শুক্রবার রাতে আরজিকরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামে এক যুবককে। পুলিশ কমিশনারের দাবি, দুর্ঘটনাস্থলের সবথেকে নিকটবর্তী সিসিটিভির ফুটেজ ও ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। তাঁর এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পুলিশ পেয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশ কমিশনার (Vineet Goyal)। ওই সময়ে তাঁর কোনওভাবেই ওই স্থানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল না। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, “এই ব্যক্তি একজন অপরাধী। তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি আমরা।”

আরও পড়ুন-আরজি করকাণ্ডে দোষীর প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

আরজিকর হাসপাতাল থেকে শুক্রবার সকাল ১০.৩০ নাগাদ টালা থানায় প্রথম ফোন আসে। এক মহিলার দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়। এরপরই টালা থানার পুলিশের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন। কমিশনারের দাবি, মৃতার পরিবার ও পড়ুয়াদের সাক্ষী রেখেই ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপরই তদন্তে সাত সদস্যের সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার বিষয়টি গোপণ রাখেন পুলিশ কমিশনার।

ময়নাতদন্ত ও মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘জঘন্য’ বলে শনিবার দাবি করেন পুলিশ কমিশনার। সেই সঙ্গে মৃতার পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পরিবার ও ডাক্তারদের জানাচ্ছি – স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তদন্ত হবে। পরিবারের কোনও দাবি থাকলে, কোনও অন্য সংস্থা দিয়ে তদন্ত দাবি করলে আমাদের তাতে আপত্তি নেই।”

Latest article