সংবাদদাতা, আসানসোল : নিজেদের শক্তি জাহির করতে মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে বিজেপি। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোল পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণডাঙায় একটি ধর্মীয় সভার আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। সভায় কম্বল বিতরণের টোপ দিয়ে লোক জড়ো করার পরিকল্পনা করে গেরুয়া শিবির। সভার আগে প্রচার করা হয়, পাঁচ হাজার মানুষকে কম্বল দেওয়া হবে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পাঁচ হাজার তো অনেক দূর, সাকুল্যে শ’পাঁচেক কম্বলও ছিল কি না সন্দেহ। কম্বল বিতরণের নামে শক্তি প্রদর্শন বুমেরাং হল বিজেপির।
আরও পড়ুন-রামপুরহাটে তদন্তে ফরেনসিক দল
এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে। এই কমিটিতে ডিসিপি থেকে এসিপি পদর্মাদার অফিসাররা রয়েছেন। তাঁদের দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে পুলিশ কমিশনারকে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর সময়মতো মামলা রুজু করবে। বাস্তব ঘটনা হল, কম্বল বিতরণের নাটক যে এভাবে বুমেরাং হবে এতটা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি গেরুয়া নেতারা। কম্বল বিতরণের জন্য যে জায়গাটি বাছা হয়েছিল, তাও ছিল অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকার ছোট্ট একফালি মাঠ। বিজেপি নেতাদের কৌশল ছিল ছোট মাঠে অনেক লোক জড়ো করে সেই ছবি দিল্লিতে পাঠিয়ে ‘অনেক লোক হয়েছে’ বলে বাহবা কুড়োবেন। কিন্তু বিধি বাম।
আরও পড়ুন-উদ্বোধন হল ২৮ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, টুইট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
নিজের হাতে জনা দশেককে কম্বল বিলি করে মঞ্চ ছাড়েন শুভেন্দু। শুভেন্দু যেতেই একে একে নেতা-নেত্রীরাও সভা ছাড়তে থাকেন। এরই মধ্যে মাত্র শ’তিনেক কম্বল পড়ে আছে দেখে কে আগে কম্বল নেবে তা নিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। গোটা চত্বরে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। ঠেলাঠেলিতে অনেকেই মাটিতে পড়ে যান। কয়েকশো মানুষ তাঁদের মাড়িয়ে চলে যান। ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক কিশোরী সহ আরও দুই মহিলার। ঘটনার পর আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশের কমিশনার সুধীর নীলকান্তম বলেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই ওই সভা করেছে বিজেপি।