সংবাদদাতা, সিউড়ি : কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একহাতে পুলিশের চাকরির নিয়োগপত্র, অন্যহাতে সরকারের দেওয়া জমির দাম, মুখে চওড়া হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সৌমেন্দ্রনাথ টুডু, জয়দেব টুডু, রজত দে, ময়না বিবিরা। এক বাক্যে সকলেই দাবি করলেন, ‘‘ভারতে এই ধরনের মুখ্যমন্ত্রী আমরা কখনও দেখিনি। শিল্প শুরু হওয়ার আগেই আমাদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনি যে গরিবের মুখ্যমন্ত্রী, আবার একবার প্রমাণ দিলেন।’’ জয়দেব টুডু বলেন, ‘‘আমরা চাই, আদিবাসী সমাজের মানুষ সমাজের মূল স্রোতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাঁচুক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলা তথা দেশের আদিবাসী সমাজের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিলেন।
আরও পড়ুন-ইউক্রেনে আটকে ছাত্রী
এভাবে শিল্প শুরুর আগে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যাবে, তা আমরা ভাবতে পারিনি।’’ এলাকায় গিয়ে যাঁরা এখনও সরকারকে জমি দেননি, তাঁদেরকে বোঝানোর দায়িত্ব নেবেন বলে জানালেন রজত দে। দ্রুত কয়লাশিল্পের জন্য রাজ্য সরকারের হাতে জমি তুলে দিতেও বলবেন বলে জানালেন, যাতে সরকার কয়লাশিল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারে। এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল বলেন, কেউ বঞ্চিত হবেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তা করে দেখান। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে কখনও গরিব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যের প্রতীক। ভরসা রাখুন মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী সমাজের পাশেই আছেন।
আরও পড়ুন-সোনামুখীতে সায়ন্তিকা-ঝড়
তাই আদিবাসী ভাইবোনেদের কাছে অনুরোধ, বাইরে থেকে যেসব মানুষ আপনাদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে, তাদেরকে চাকরির নিয়োগপত্র দেখিয়ে এলাকাছাড়া করুন। কারণ বহিরাগতরা দেউচা পাঁচামির মাটির লোক নয়, আদিবাসীরা এই মাটির লোক। যারা কলকাতা ঝাড়খণ্ড থেকে আপনাদের কাছে আসছে, তারা আপনাদের ভাল চায় না।