ভোপাল গ্যাস-ট্র্যাজেডি চার দশক পরে সম্পূর্ণ সরানো হল বিষাক্ত বর্জ্য

ভোপালের অধিকাংশ মানুষের ধারণা অন্তত সেটাই। সেই ভয়াবহ গ্যাস-দুর্ঘটনার ৪ দশক পরে আদালতের নির্দেশে ভোপাল থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে নেওয়া হল বিষাক্ত বর্জ্য।

Must read

প্রতিবেদন: ৪০ বছর পরে অবশেষে শাপমুক্তি? ভোপালের অধিকাংশ মানুষের ধারণা অন্তত সেটাই। সেই ভয়াবহ গ্যাস-দুর্ঘটনার ৪ দশক পরে আদালতের নির্দেশে ভোপাল থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে নেওয়া হল বিষাক্ত বর্জ্য। ১৯৮৪-র ২ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঘটে যাওয়া গ্যাসলিকের ভয়ঙ্কর ঘটনা আলোড়িত করেছিল গোটা দেশকে। কীটনাশক তৈরির কারখানা ইউনিয়ন কার্বাইড থেকে বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানেট লিক করে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫৪৭৯ জন। সারাজীবনের মতো পঙ্গু হয়ে যান অনেকেই।

আরও পড়ুন-বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ডুয়ার্স উৎসবের সূচনা

এই গ্যাসলিকের জেরেই পরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আরও বহু মানুষের। দুর্ঘটনার সাক্ষী ৩৩৭টন রাসায়নিক বর্জ্য বুধবার রাতে অতি সাবধানে ভোপাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ২৫০ কিমি দূরে ইন্দোরের কাছে পিথমপুরে। সেখানেই শুরু হয়েছে বিষাক্ত বর্জ্য পুরোপুরি নষ্ট করে দেওয়ার প্রক্রিয়া। স্বাভাবিকভাবেই এই বর্জ্য সরানোর কাজে নেওয়া হয়েছিল চূড়ান্ত সতর্কতা। মানুষের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার বিষয়টি ছিল অগ্রাধিকারের শীর্ষে। নিয়ে আসা হয়েছিল ১২ টি লিক-প্রুফ এবং অগ্নিপ্রতিরোধক কন্টেনার। প্রতিটি কন্টেনারে তোলা হয়েছে অন্তত ৩০টন বর্জ্য। কাজে নামানো হয় প্রায় ১০০ শ্রমিককে। যেহেতু বিপজ্জনক বর্জ্যের কাছে ৩০ মিনিটের বেশি থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক তাই প্রতিটি শ্রমিকের কাজের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৩০ মিনিটের শিফট। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বর্জ্য অপসারণ এবং পরিবহনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় ২০০ মিটার রেডিয়াস এলাকা। ১২ টি কন্টেনার নিয়ে ২৫ গাড়ির কনভয় রওনা হয় পিথমপুরের দিকে। কনভয়ের গতি ছিল ঘন্টায় ৫০ কিমি। অর্থাৎ প্রতিটি মুহূর্তে চূড়ান্ত সাবধানতা। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নামানো হয়েছিল ১০০০ পুলিশ। সঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসক, নার্স, দমকল এবং কুইক রেসপন্স টিম। মানুষের মনে সংশয় একটাই, বর্জ্যের একটা অংশ পুড়িয়ে ফেলার সময় নির্গত ধোঁয়া আবার নতুন করে কোনও বিপদ ডেকে আনবে না তো?

Latest article