সংবাদদাতা, আসানসোল : জট অনেকটাই কাটল। রাজ্যের উদ্যোগে কেটে যাচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। খুব শীঘ্রই পশ্চিম বর্ধমানে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে জেলার দ্বিতীয় বিমানবন্দর। অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দরের পর আসানসোলের বার্নপুরে তৈরি হবে এই বিমানবন্দরটি। শনিবার আসানসোলের এডিডিএ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের পূর্ত ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সেলের ‘ইস্কোর’ জমিতে গড়ে উঠবে দ্বিতীয় বিমানবন্দরটি।
আরও পড়ুন-ফের বিস্ফোরক ট্যুইট জিতেন্দ্রর, হৃদকম্প বিজেপির
স্বাধীনতা পূর্ব ভারতে স্যর বীরেন মুখোপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি বা ইস্কো। সেই সময় কারখানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এখানে একটি ছোট্ট বিমানবন্দর তৈরি করা হয়। পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অবিভক্ত বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর। লাউদোহার মাধাইপুর ও দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকায় আজও রয়ে গিয়েছে সেই বিমানবন্দরগুলির বেশ কিছু চিহ্ন। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমেস্টিক এয়ার ট্রাফিকিংয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং ক্ষমতায় আসার পরই অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দরটিকে দ্রুত কার্যকর করে তোলারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এখনও অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গেই চলছে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিমানবন্দরটি।
আরও পড়ুন-ডানা মেলবে জেট
বার্নপুরের এই বিমানবন্দরটি তৈরির কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে আপাতত সমস্তরকম প্রশাসনিক জটিলতার অবসান হলেও সামান্য কয়েকটি সমস্যা থেকে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। উড়ানের পথেই রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় মাপের গাছ। এ ছাড়াও রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার। মন্ত্রী জানান, বৈঠকে উপস্থিত এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা তাঁকে এই সমস্যাগুলির কথা জানিয়েছেন। সমস্যার কথা শুনে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দফতরগুলির আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দেন দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধান করতে। ট্রান্সফর্মারটি এবং গাছগুলি সরানো না হলে সেখানে রানওয়ে তৈরি করা সম্ভব হবে না। সেই কারণেই বন দফতরের অনুমতি নিয়ে দ্রুত গাছ কাটার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।