প্রতিবেদন : নবরূপে সজ্জিত বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণের আগেই উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন এই মেলাপ্রাঙ্গণের নাম দিয়েছেন তিনিই। মিলনমেলার মেকওভারে খরচ হয়েছে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। বাংলার মুকুটে একটা নতুন পালক যোগ হল এই অত্যাধুনিক মেলা প্রাঙ্গণের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। নিউ টাউনে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টার ছিলই। মিলনমেলার নাম করা হল বিশ্ববাংলা মেলাপ্রাঙ্গণ (Biswa Bangla Mela Prangan)। যে কোনও প্রদর্শনী, সম্মেলনের কাজে এই প্রাঙ্গণ ব্যবহার করা যাবে। সমস্ত অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধে রয়েছে। ২ লক্ষ বর্গমিটার জায়গা রয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। সায়েন্স সিটির দিকের গেটের সামনেই রয়েছে ৩টি ফুড কোর্ট। ২০১৮ সালে এই মেলা প্রাঙ্গণের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড প্রমোশন অর্গানাইজেশন। মোট ২২ একর জমিতে ২টি প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। নতুনভাবে তৈরি বিশ্ববাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে (Biswa Bangla Mela Prangan) থাকছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। তৈরি হয়েছে এক লক্ষ বর্গফুটের দু’টি আলাদা অডিটোরিয়াম, মাল্টি গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা। সেখানে প্রায় ১২০০টি গাড়ি একসঙ্গে রাখা যাবে। এ-ছাড়াও থাকছে ইস্পাতের বিশ্ববাংলা স্ট্যান্ড। যার উচ্চতা ৬০ ফুট। এই স্তম্ভের মাথায় লাগানো হয়েছে বিশ্ববাংলা গ্লোব। এ-ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে থাকছে নানান ধরনের লাইট ও সাউন্ড। মিলনমেলার দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে মূল দুটি গেট রয়েছে। সায়েন্স সিটির গেটের দিকে তৈরি করা হয়েছে বিশ্ববাংলা টাওয়ার।