সংবাদদাতা, নানুর : চক্রান্ত করে সেনাপতিকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাও বীরভূম আছে বীরভূমেই। অদৃশ্য হয়ে সেনাপতি অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে। কাজল শেখ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহরা একজোট হয়ে প্রাণপাত করেছেন দলকে জেতাতে। চতুর্থ দফার ভোটে বীরভূমের দুটি কেন্দ্রে ভোট হল। ফলাফল ঘোষণা হবে ৪ জুন। কিন্তু জয়ের ব্যাপারে নেতা-কর্মীরা প্রবল আত্মবিশ্বাসী। তাতেই ফল ঘোষণার আগেই বিজয় উৎসবে মাতল নানুরের মানুষ। বিজয় মিছিল বের হল ফায়েজুল হক ওরফে কাজল শেখের জন্মস্থান নানুরের পাপুড়ি থেকে। কর্মী-সমর্থকেরা সবুজ আবির মাখালেন নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি এবং জেলা পরিষদ সভাধিপতি কাজলকে। তারপর সমর্থকদের মধ্যে বিতরণ হল মিষ্টি। গোটা এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত মাল এবং শতাব্দী রায়ের ছবি নিয়ে বাজনা সহকারে পরিক্রমা করল বিজয়মিছিল।
আরও পড়ুন-পঞ্চমবার বর্ষসেরা এমবাপে
কাজল শেখ বলেন, নানুরের মানুষ, কর্মী-সমর্থকরা বিজয় মিছিল করেছেন। আমাকে শামিল করেছেন মাত্র। জয়ের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাজল বলেন, দুটি আসনে জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত। তিন লক্ষ ভোটে বোলপুর লোকসভায় তৃণমূল জিতবে। বীরভূমে জিতবে এক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে। জয়ের ব্যাপারে কীভাবে এতটা নিশ্চিত, এই প্রশ্নে কাজল বলেন, ভাল ছাত্র সারা বছর পড়াশোনা করলে সে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে বুঝতে পারে রেজাল্ট কী হবে। সে রেজাল্টের আশায় বসে না থেকে আবার পরবর্তী পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা শুরু করে দেয়। যারা পড়াশোনা করে না, তারা রেজাল্টের দিনের অপেক্ষায় থাকে। সারা বছর আমরা মানুষের সুখে-দুঃখে থাকি। ভোটের দিনে মুখ দেখাই না।